ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

‘চিকিৎসকদের পদোন্নতির পর ঢাকার বাইরে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০১৫
‘চিকিৎসকদের পদোন্নতির পর ঢাকার বাইরে’ ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: পদোন্নতির পর চিকিৎসকদেরকে রাজধানীর বাইরে সেবা দিতে মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

রোববার (০২ আগস্ট) ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০১৫ উদ্বোধনকালে এ আহ্বান জানান তিনি।



সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ১ থেকে ৭ আগস্ট মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালিত হচ্ছে।
 
নাসিম বলেন, পদোন্নতির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে প্রায় ৩৫০ চিকিৎসকের পদোন্নতি দেওয়া হবে। তাদেরকে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে বদলি করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, পদোন্নতির পর ঢাকায় থাকার জন্য তদবির না করে গ্রামের মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে মানসিকভাবে তারা যেন প্রস্তুত থাকেন। এ সময় তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় কর্মরত আছেন এমন চিকিৎসকদেরকে স্বেচ্ছায় রাজধানীর বাহিরে বদলি হওয়ার আবেদন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করারও আহ্বান জানান।

স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, দেশের সকল জেলা হাসপাতালে আইসিইউ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আইসিইউ স্থাপন করা হলে গ্রামের মানুষকে আর ঢাকায় আসতে হবে না। জেলা হাসপাতালগুলোকে পর্যায়ক্রমে অত্যাধুনিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করা হবে।

মোহাম্মদ নাসিম মাতৃদুগ্ধ পানে নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে জনসচেতনতা সৃষ্টির উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এক্ষেত্রে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে যেন তারা সন্তানদেরকে নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর জন্য উৎসাহ যোগাতে পারেন। নতুন প্রজন্মের মধ্যে অতি আধুনিকতার নামে অনেকেই বিপথে চলে গিয়ে মাদকাসক্তি ও সন্ত্রাসে জড়িয়ে পড়ছে। ফলে তাদের মধ্যে সন্তানদেরকে দুধ খাওয়ানোর প্রবণতা অনেক কমে আসে। এজন্য প্রজন্মকে সচেতন করতে অভিভাবকদের সচেষ্ট হতে হবে।

কর্মজীবী নারীদের সন্তানদের মায়ের দুধ খাওয়ানোর সুবিধার্থে দেশের সকল সরকারি, বেসরকারি অফিস, শিল্প ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিংমলে ‘ব্রেস্টফিডিং কর্নার’ স্থাপনের আহ্বান জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এ উদ্যোগ মানবিক দায়িত্ব। নারী ও শিশু উভয়ের কল্যাণেই এ ধরনের কর্নার স্থাপন জরুরি। এর জন্য সরকারি আদেশ বা আইন প্রণয়নের অপেক্ষায় থাকা উচিত নয়।

মন্ত্রী বলেন, চটকদারি বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে টিনজাত দুধ খাওয়ানোকে নিরুৎসাহিত করতে সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। এজন্য শুধু আগস্টের প্রথম সপ্তাহ নয়, বছরের প্রতিদিনই মানুষকে বোঝাতে হবে যে মায়ের দুধের কোনো বিকল্প নেই।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নূর হোসেন তালুকদার, বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিডিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ডা. এস কে রায় বক্তব্য রাখেন। ‍

আলোচনা শেষে স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত মেলা পরিদর্শন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, আগষ্ট ০২, ২০১৫
এমএন/বিএস

** সব অফিসে ব্রেস্টফিডিং কর্নার থাকতে হবে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।