ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

একশ’ বছর বাঁচতে হলে খেতে হবে যেসব খাবার

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৬
একশ’ বছর বাঁচতে হলে খেতে হবে যেসব খাবার

বেশিদিন বাঁচতে চান? একশ’ বছর বা তারও বেশি! দীর্ঘায়িত আয়ুর চাবিকাঠি কী বলুন তো? উত্তর হচ্ছে—সঠিক খাবার। আমাদের দৈনন্দিন খাবারই নির্ধারণ করে কে কতদিন বাঁচব।

একজন ব্যক্তির গড় আয়ু ধরা হয় ৬০ বছর। কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাবার একজন মানুষের সার্বিক সুস্থতা তো নিশ্চিত করেই, পাশাপাশি আয়ুও ধরে রাখে অন্তত একশ’ বছর পর্যন্ত।

১. মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুতে রয়েছে পটাশিয়াম। যা উচ্চরক্তচাপ কমায়। এর মধ্যকার ভিটামিন ‘এ’ দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় ও হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখে। কোষের বৃদ্ধির জন্য অত্যাবশ্যক একটি উপাদান এটি।



২. স্যালমন
স্যালমন ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের ভালো উৎস। এই এসিড ইরেগুলার হার্টবিট, রক্তচাপ ও ধমনীতে ফ্যাট জমতে দেয় না। ওমেগা-৩ উত্তম ব্রেইন ফুড হিসেবেও পরিচিত। যা ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকি কমায়।

৩. ব্লুবেরি
ব্লুবেরি আয়ু বাড়ায়! ভিটামিন ও খনিজে পরিপূর্ণ এ ফলে আরো রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ফ্রি রেডিক্যালস থেকে রক্ষা করে। ফ্রি রেডিক্যালস আমাদের কোষ ধ্বংস করে। এটি ক্যানসারের উদ্দীপক হিসেবেও চিহ্নিত। এছাড়াও ব্লুবেরি হৃদরোগ, স্ট্রোক ও স্মৃতিভ্রংশতা রোধ করে।



৪. টকদই
টকদইয়ে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া যা আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে সঠিকভাবে কাজ চালাতে সাহায্য করে এবং রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষায় প্রহরীর কাজ করে। টকদই—খাবার ভালোভাবে হজমে ও খাবার থেকে পুষ্টি শুষে নিতে শরীরকে সাহায্য করে। এছাড়া এটি এমন একটি খাবার যা দেহের সার্বিক দেখাশোনা করে। পেটের যেকোন সমস্যা ও ইউরিনারি ইনফেকশনের সহজ সমাধান দই।

৫. তুলসি ও পুদিনা
তুলসি ও পুদিনাতে রয়েছে লিউটিওলিন নামক একটি উপাদান। যা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে ও স্মৃতিশক্তি উন্নত করে।



৬. অলিভ অয়েল
দেখে মনে না হলেও অলিভ অয়েল খাদ্যের পাওয়ার হাউজ বলে বিবেচিত। রান্নায় ও সালাদে অলিভ অয়েল ব্যবহার করে আপনিও পারেন আপনার রেসিপিকে আরো স্বাস্থ্যকর করে তুলতে। এটি অন্যান্য স্যাচুরেটেড ফ্যাটের মতো ধমনী সংকীর্ণ করে না। এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এ তেল ফ্রি রেডিক্যালসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। অলিভ অয়েল ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৫
এসএমএন/টিকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।