ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

যক্ষ্মায় বছরে ৬ হাজার রোগীর মৃত্যু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৬
যক্ষ্মায় বছরে ৬ হাজার রোগীর মৃত্যু ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৬ হাজার যক্ষ্মা রোগী মারা যায়। পুরো বিশ্বে এ সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ।

এ রোগে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে শতকরা ৯৫ শতাংশের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।

বুধবার (২৩ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে  বিশ্ব যক্ষা দিবস-২০১৬ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ বেসরকারি সহযোগি সংগঠনের উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এতে জানানো হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) জরিপ অনুযায়ী অন্যান্য  দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের যক্ষ্মা প্রতিরোধ ও নিরাময় কার্যক্রম বেশ সন্তোষজনক। ২০৩৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা মুক্ত দেশ গড়তে একটি টার্গেট নিয়ে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ ১৯৯৩ সালে যক্ষ্মা চিকিৎসা (ডিওটিএস) পদ্ধতি গ্রহণ করে। বর্তমানে ১১০৪ টি ল্যাবরেটরি ও ৪০টি ইকিউএ ল্যাবরেটরি এবং ৩৯ টি জিন এক্সপার্টের মাধ্যমে  যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০১৫ সালে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির মাধ্যমে ২ লাখ ৬ হাজার ৯১৯ যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু রোগীর সংখ্যা ৮ হাজার ১০৩।

এ সময় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির কন্সালট্যান্ট ড‍া. মজিবুর রহমান, ডা. আব্দুল হামিদ সেলিম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিনিধি ডা. জয়ন্ত বেইঞ্জ, জাহেদুল ইসলাম বক্তব্য দেন।

২৪ মার্চ  বিশ্ব যক্ষা দিবস পালিত হবে। ‘ঐক্যবদ্ধ হলে সবে, যক্ষ্মা মুক্ত দেশ হবে’ স্লোগানে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বাড়াতে প্রতিবারের মতো এবছরও নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ড‍া. মো. কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন-জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সহকারী পরিচালক ড‍া. মো আশরাফ উদ্দিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৬
এইচআর/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।