ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

টাঙ্গাইলে স্বাস্থ্য কার্ডের উদ্বোধন করলেন নাসিম

মাজেদুল নয়ন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৬
টাঙ্গাইলে স্বাস্থ্য কার্ডের উদ্বোধন করলেন নাসিম ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কালিহাতি, টাঙ্গাইল থেকে: স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির অধীনে শুরু হচ্ছে জাতীয় সেবাদান কার্যক্রম। কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র পরিবারগুলিকে একটি হেলথ র্কাড দেওয়া হবে।

এ কার্ডের মাধ্যমে তারা ৫০টি রোগের সার্বিক চিকিৎসা পাবেন বিনামূল্যে।

অ্যাপেন্ডিসাইটিস, ফ্লু, অ্যাজমা থেকে শুরু করে গর্ভকালীন চিকিৎসা সেবাও থাকবে এ কার্ডের অধীনে।

দেশে গরিব মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় কর্মসূচিকে যুগান্তরী উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) কালিহাতি উপজেলা পরিষদে এ সেবার উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

স্বাস্থ্যসচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, এ কর্মসূচির অধীনে নির্দিষ্ট সূচক ব্যবহার করে পাইলট এলাকায় দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী পরিবারগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। পরিবার প্রতি সবাইকে একটি স্বাস্থ্য কার্ড দেওয়া হবে। এ কার্ডের ভিত্তিতে পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসার প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হতে পারবেন এবং ৫০টি রোগের (রোগ নির্ণয়, ওষুধ, পথ্যসহ) পূর্ণ চিকিৎসা বিনামূল্যে পাবেন।

সচিব বলেন, এই চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহের জন্য পরিবার প্রতি বার্ষিক এক হাজার টাকা প্রিমিয়াম হিসেবে সরকার দেবে, যার বিনিময়ে প্রতিটি পরিবার বার্ষিক সর্বোচ্চ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা সুবিধা পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, পাইলট প্রকল্প চলাকালে এই প্রিমিয়ামের অর্থসহ প্রকল্পের যাবতীয় ব্যয় স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি উন্নয়ন সেক্টরের উন্নয়ন কর্মসূচি থেকে সংস্থান করা হবে। পরবর্তীতে সরকারি বরাদ্দ ও সচ্ছল পরিবারের কাছ থেকে প্রিমিয়াম সংগ্রহের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে এ কর্মসূচিতে।

মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে এ সেবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং প্রয়োজনে জেলা হাসপাতাল থেকে দেওয়া হবে। পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে সুনির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে বেসরকারি হাসপাতালকেও আনা হবে এ কার্যক্রমের আওতায়।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকার চেষ্ট‍া করে যাচ্ছে। তা সত্ত্বেও চিকিৎসা গ্রহণের জন্য জনগণের নিজ পকেট থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়। যা মোট চিকিৎসা ব্যয়ের ৬৩ শতাংশ। এর ফলে দরিদ্র পরিবারগুলি বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় অথবা তারা স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। দরিদ্র জনগণের বিনামূল্যে চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা র্কমসূচি' পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি ২০১১ এবং পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে এভাবে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের বিধান অর্ন্তভুক্ত করা হয়।

প্রথম পর্যায়ে ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি, মধুপুর ও ঘাটাইল- এই তিনটি উপজেলায় এ পাইলট কার্যক্রম শুরু করা হবে। পরবর্তী পর্যায়ে অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করে ধাপে ধাপে এ কার্যক্রম সম্প্রসারিত হবে সারাদশে।

সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য হাসপাতালভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন এবং সেবা গ্রহণে আর্থিক প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে এ কর্মসূচি ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সচিব।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৬
এমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।