ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

অব্যবস্থাপনা-অবহেলায় দেশ আর্সেনিকমুক্ত হচ্ছে না

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৬
অব্যবস্থাপনা-অবহেলায় দেশ আর্সেনিকমুক্ত হচ্ছে না ছবি: রানা-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা : দেশকে আর্সেনিকের ঝুঁকি মুক্ত করার কাজে সরকারের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ তুলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।

 

বুধবার (৬ এপিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলা হয়।

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এইচআরডব্লিউ’র সিনিয়র রিসার্চার রিচাড পিয়াসহাউজ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশকে আর্সেনিকের ঝুঁকি মুক্ত করতে টেকনিক্যাল কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা রয়েছে সরকারের ব্যাপস্থাপনায়।

এতে বলা হয়, ২০০০ সালে যখন আর্সেনিক দূরীকরণ কার্যক্রম শুরু হয়, তখন যে সংখ্যক মানুষ আর্সেনিক ঝুঁকির মধ্যে ছিল, এখনও সেই সংখ্যক মানুষ আর্সেনিক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ২০১৩ সালের পরিসংখ্যানের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, ওই বছর সারাদেশে ২ কোটি মানুষ আর্সেনিকের ঝু‍ঁকিতে ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, নিরাপদ পানি পানের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যে গভীর নলকূপ দেওয়া হয় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায়, তা বিতরণে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকে। সরকারের দেওয়া টিউবওয়েলের ৫০ ভাগ স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশে বিতরণ হয়। এর ফলে টিউবওয়েল বিতরণে পক্ষপাতিত্ব হয়ে থাকে। এতে যাদের টিউবওয়েলের বেশি প্রয়োজন, অনেক সময় তারা পান না।

সংসদ সদস্যদের এই ৫০ ভাগ কোঠা তুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

এতে আরও বলা হয়, আর্সেনিক ঝুঁকি কোনো কোনো জায়গায় অনেক বেশি, আবার কোনো কোনো জায়গায় অনেক কম। যেখানে ঝুঁকি বেশি, সেখানে বেশি নলকূপ প্রয়োজন আর যেখানে ঝুঁকি কম সেখানে কম নলকূপ প্রয়োজন। অথচ সব জায়গায়ই সমানভাবে নলকূপ বিতরণ করা হচ্ছে। যেখানে যে পরিমাণ চাহিদা রয়েছে সেখানে সেই পরিমাণ বিতরণ করা দরকার।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সরকার ২০০৬ সাল থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার নলকূপ বিতরণ করেছে। এর মধ্যে ৫ হাজার নলকূপে আর্সেনিক পাওয়া গেছে। মানুষ এখনও সেই নলকূপের পানি পান করছেন। ইউনিসেফ যে নলকূপগুলো বসিয়েছে, তার মধ্যেও ১৭শ’র মতো নলকূপে আর্সেনিক পাওয়া গেছে। সরকার তাদের ওই ৫ হাজার নলকূপ ঠিক করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। দ্রুত এই নলকূপগুলো ঠিক করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, প্রতিবছর ৪৩ হাজার মানুষ আর্সেনিক সংশ্লিষ্ট রোগে মারা যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ক্যান্সার ও লিভারের সমস্যা। যারা এই সমস্যায় ভুগছে তাদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থাও নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৬
এসকে/এইচএ/এমএন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।