ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দম্পতিদের স্থায়ী পদ্ধতিতে উৎসাহিত করতে হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৮ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৬
দম্পতিদের স্থায়ী পদ্ধতিতে উৎসাহিত করতে হবে জাহিদ মালেক- ফাইল ফটো

ঢাকা: ‘বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৩১ লাখ প্রসব সংগঠিত হয় যার প্রায় ৩৭.৮ শতাংশ অর্থাৎ ১১ লাখ প্রসব হয় প্রাতিষ্ঠানিকভাবে। আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব বাড়াতে হবে, অনেকাংশে প্রায় দ্বিগুণ করতে হবে।

বুধবার (১১ মে) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দিক তুলে ধরেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

চলতি ১৪ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত দেশব্যাপী পরিবার-পরিকল্পনা, মা-শিশু-কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যসেবা ও প্রচার সপ্তাহ উদ্যাপন উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রসবের পর দম্পতিদের স্থায়ী পদ্ধতি নেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করতে হবে। বিশেষ করে টিউবেকটমি ও আইইউডি বাড়াতে  হবে। ফলে নতুন করে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ এড়ানো এবং মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ভালো রাখা সম্ভব হবে।

বিডিএইচএস-২০১৪ এর তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ বছরে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহারকারীর হার ৫৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬২ শতাংশে উন্নীত হলেও স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদী পদ্ধতিতে তেমন কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। এ বিষয়ে উন্নয়নের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সফল দম্পতিদের মধ্যে স্থায়ী ও দীর্ঘ মেয়াদী পদ্ধতি বাড়ার হার প্রায় ৩০ শতাংশ। তাই এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো, ‘প্রসব পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ, নিশ্চিত করে সুস্থ-সুন্দর পারিবারিক বন্ধন’।

তিনি বলেন, প্রসব পরবর্তীকালীন অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণ রোধ করা গেলে সঠিক পদ্ধতি নেওয়ার মাধ্যমে মায়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। জন্মহার কমবে। পরিকল্পিত পরিবার গঠিত হবে।

এই সপ্তাহ পালন উপলক্ষে প্রচার-প্রচারণা, সেমিনার, আলোচনা সভা, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে আয়োজন করা হয়েছে। সংবাদপত্র, টিভি ও বেতারে প্রচার-প্রচারণামূলক কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে বলে জানান জাহিদ মালেক।

তিনি জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দু’টি অধিদফতরের অধীনে প্রায় ৩৫শ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ সেন্টারে মা ও শিশু এবং প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে সপ্তাহে সাতদিন, চব্বিশ ঘণ্টা।

সক্ষম দম্পতিদের ক্ষেত্রে দু’সন্তানের মধ্যে ন্যূনতম (তিন বছর) বিরতি এবং ২টি জীবিত সন্তানের ক্ষেত্রে দ্বিতীয়টির বয়স কমপক্ষে এক বছর হলে স্থায়ী পদ্ধতি নিতে উদ্বুদ্ধ  করাই এবারের সেবা ও প্রচার সপ্তাহের মূল লক্ষ্য। পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির গ্রহিতা বাড়ানো, মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হার হ্রাসে সরাসরি প্রভাব রাখতে সক্ষম বলেও তিনি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৬
এমএন/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।