ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ঝাল লাগলে পানি নয়

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৭ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৬
ঝাল লাগলে পানি নয়

ঢাকা: ঝাল খাবার কমবশি সবার পছন্দ। কিন্তু অতিরিক্ত ঝাল খাবার খেয়ে নাজেহাল তো প্রায় হতেই হয়।

আর ঝাল লাগলে পানির গ্লাসের দিকেই হাত চলে যায় সবার আগে। তবে পানি কিন্তু ঝাল কমায় না। কেন জানেন? বলছি পরে, আগে জেনে নিন জিভে ঝাল কমানোর কয়েকটি সহজ সমাধান-

ডেইরি– ঝালের প্রদাহে এটি ম্যাজিক বামের মতো কাজ করে। এক চুমুক ঠাণ্ডা দুধ বা এক চামচ টক দই মুখ থেকে বর্নিং সেনসেশন দূর করে। ডেইরি প্রোডাক্টে কেসিন নামক এক প্রকার প্রোটিন রয়েছে যা মরিচের মধ্যকার ক্যাপসেইসিন ও পিপারিন নামক কেমিকেল ভেঙে ফেলে। তাই মুখে ঝাল অনুভূতি কমে যায় অনেকটাই।
 
সুইট– ঝাল তরকারি খেয়ে নাক-কান দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে? অর্ধেক চা চামচ মধু মুখে পুরে নিন। কারণ মধু অয়েল-বেসড ক্যাপসেইসিন শুষে নেয়। ফলে এর কার্যকারিতা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে।

স্টার্চ ফুড– একদম হাতের নাগালেই রয়েছে। ভাত, আলু ও রুটি। স্টার্চ ফুড জিভ ও ক্যাপেসেসেইনের মধ্যে প্রাকৃতিক বাঁধ তৈরি করে এবং স্টার্চ ফুড চিবানোর সময়ই অনেকটা ঝাল শুষে নেয়।
 
অ্যালকালাইন- অতিরিক্ত ঝালের বিজ্ঞানসম্মত সমাধান এটি। অ্যালকালাইন বা ক্ষারীয় খাবার মসলার এসিডিটি নিষ্ক্রিয় করে দেয়। ঝাল কমাতে কয়েক টুকরো টমেটো মুখে পুরুন। এছাড়াও লেবুর রস, কমল‍া ও আনারসও এক্ষেত্রে দারুণ কার্যকরী।  

ঝালের সমাধান হলো, এবার গোঁড়ার কথা দিয়ে শেষ করা যাক। ঝাল লাগলে পানি খেয়ে লাভ নেই, কারণ ক্যাপসেসেইন অয়েল বেসড মানে এটি এক প্রকার প্রাকৃতিক তেল। আর জানেনই তো, তেল আর পানি একসঙ্গে মেশে না। ফলে পানি খাওয়ার পর তা অ‍াপনার কোষঝিল্লি থেকে ক্যাপসেসেইন অপসারণের বদলে মুখের ভেতরের অন্য অংশে ছড়িয়ে দেয় যাতে করে অ‍ারও ঝাল অনুভূত হয়।

তাই এবার থেকে ঝাল লাগলে পানি নয়, হাত বাড়ান ডেইরি, সুইট, স্ট্রেচ ও অ্যালকালাইন খাবারের দিকে।

বাংলাদেশ সময়: ০২২০ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৬
এসএমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।