ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

‘ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ান, শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমান’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৬
‘ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ান, শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমান’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ভিটামিন ‘এ’র অভাবজনিত কারণে রাতকানা রোগের প্রাদুর্ভাব অনেকাংশেই কমে গেলেও এটি এখনও দেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা। ভিটামিন ‘এ’ শিশুরোগ ও শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায় এবং অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে।

এ কারণেই  ভিটামিন ‘এ’ প্লাস  ক্যাম্পেইনে নিয়ে এসে অনুর্ধ্ব ৫ বছর বয়সী শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।

শিশুদের রাতকানা ও অপুষ্টিজনিত রোগ প্রতিরোধে দেশব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০১৬ এর উদ্বোধনকালে এ আহ্বান জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শনিবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এর উদ্বোধন করেন তিনি।

‘ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ান, শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমান’-  প্রতিপাদ্যে  দেশের মোট ১ লাখ ৪০ হাজার কেন্দ্রে ৫ বছর পর্যন্ত শিশুদের বিনামূল্যে নীল ও লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র রয়েছে ট্রেন, লঞ্চ ও বিভিন্ন  রাস্তায়।  

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের সব শিশুকে রাতকানা রোগ থেকে রক্ষায় সরকারি-বেসরকারি মোট ৪ লাখ কর্মী কাজ করছেন। এ ক্যাম্পেইন আগামী চারদিন দেশজুড়ে অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও শিশুমৃত্যু রোধে অগ্রগতি অনেক হলেও অপুষ্টি এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ভিটামিন ‘এ’র অভাবজনিত সমস্যা বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা। প্রতি বছর বিশ্বের লাখ লাখ শিশু ভিটামিন ‘এ’র অভাবজনিত কারণে রাতকানা রোগে ভোগে এবং অন্ধত্ব বরণ করে।

ভিটামিন ‘এ’র অভাবে অন্ধত্ব ছাড়াও অন্যান্য রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং বারে বারে শিশু অসুস্থ হওয়ার  কারণে  হাসপাতালে ভর্তিও চাপও বাড়ে।

বাংলাদেশে এ ধরনের অসুস্থতার কারণে অনুর্ধ্ব ৫ বছর বয়সী শিশুদের মৃত্যুর হার প্রায় এক তৃতীয়াংশ বলেও জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভিটামিন ‘এ’ শিশুরোগ ও শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায় এবং অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে। এ কারণেই  ভিটামিন ‘এ’ প্লাস  ক্যাম্পেইন করার প্রয়োজনীতা এখনো রয়েছে। আমাদের দেশে অনুর্ধ্ব ৫ বছর বয়সী শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস পেলেও অনেক দেশের তুলনায় এ হার অনেক বেশি।

এখনো প্রতি হাজারে ৪৬ জন শিশু মৃত্যুবরণ করে।
 
দেশে ভিটামিন ‘এ’র অভাবজনিত কারণে রাতকানা রোগের প্রাদুর্ভাব অনেকাংশেই কমে গেছে এবং ১ শতাংশের নিচে অবস্থান করছে। বর্তমানে ৬ মাস পর পর একবার ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন করা হয়ে থাকে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ওয়াহিদ হোসেন প্রমুখ।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক জানান, এবার দুই ধরনের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুদের খাওয়ানো হচ্ছে।   এর মধ্যে  ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৬
এমএফআই/এসজে/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।