ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বিএসএমএমইউতে অধীনে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৬
বিএসএমএমইউতে অধীনে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীনে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট একটি সুপার স্পেশালাইড হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান।

বুধবার (১৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে সুপার স্পেশালাইড হাসপাতালের কনসালট্যান্সি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।


এতে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান।

এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত জনান আন সং-ডু, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ এস এম জাকারিয়া (স্বপন), কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আলী আসগর মোড়ল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক ডা. জুলফিকার রহমান খান, দক্ষিণ কোরিয়ান কনসালট্যান্সি টিমের প্রধান মি হ্যান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সুপার স্পেশালাইসড হাসপাতাল নির্মাণের মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে একটি বড় স্বপ্ন পূরণ হবে। এ হাসপাতাল হবে দেশের সব মানুষের সম্পদ। দেশের মানুষ এখান থেকে সুলভে সর্বোচ্চ মাত্রার স্বাস্থ্যসেবা পাবেন।
 
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত আন সং-ডু বলেন, ২০১৯ সালের মধ্যেই সুপার স্পেশালাইসড হাসপাতাল নির্মাণ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিজ্ঞতাকেও কাজে লাগানো হবে।
 
বিএসএমএমইউ’র কেবিন ব্লকের পিছনে নিজস্ব ৩ দশমিক ৮২ একর জমিতে দেশের প্রথম সেন্টার বেইজড এ সুপার স্পেশালাইসড হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। অত্যাধুনিক এ হাসপাতালে মোট ১১টি সেন্টার থাকবে। সেন্টারগুলো হলো- কার্ডিওভাসকুলার, কিডনি অ্যান্ড ইউরোলজি, হেপাটোবিলিয়ারি অ্যান্ড অ্যান্ডোক্রাইনোলজি, এক্সিডেন্টাল ইর্মাজেন্সি, মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার, অনকোলজি উল্লেখযোগ্য।

নির্মাণ কাজ শেষ হলে এসব সেন্টারে সংশ্লিষ্ট রোগের যাবতীয় চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে এবং বাংলার আপামর জনসাধারণ দেশেই সুলভে সর্বোচ্চ মাত্রার স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থার আরো উৎকর্ষ হবে।  

প্রকল্পের মোট ব্যয়  ধরা হয়েছে ১৩শ ৬৬ কোটি টাকা। এরমধ্যে দক্ষিণকোরীয় সরকারের ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড থেকে সহজ শর্তে ১ হাজার ৪৭ কোটি টাকা আসবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ঘণ্টা, আগস্ট: ১৭, ২০১৬
এসই/এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।