ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

৫০০ জন চিকিৎসকের পদোন্নতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৬
৫০০ জন চিকিৎসকের পদোন্নতি

ঢাকা: ৫০০ জন চিকিৎসককে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে প্রায় সাড়ে নয় হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৯ হাজার ৪৮৪ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের ঘটনাকে দেশের জনগণ ও বেকার নার্সদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ‘ঈদ উপহার’ হিসাবে আখ্যায়িত করেন মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার পথে দীর্ঘদিনের অন্তরায় নার্স সংকট সমাধানের পথ উন্মোচিত হয়েছে এ নিয়োগের মাধ্যমে। দ্রুত সারা দেশের হাসপাতালে তাদের পদায়ন করে জনগণের দোরগোড়ায় চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করবে সরকার।

সোমবার (০৫ সেপ্টেম্বর) ৫০০ জন চিকিৎসককে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদেরকে দেশের ৩১টি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালে পদায়ন করা হবে। তাদেরকে কলেজে শিক্ষকতার পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় কর্মস্থল থেকে তাদের প্রত্যাহার করা হবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নার্স নিয়োগ ও চিকিৎসকদের পদোন্নতি নিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নার্সদের অভিনন্দন জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা আন্দোলন ও হুমকির মধ্যেও মানবসেবার মনোবৃত্তি নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলেন তারাই প্রকৃত সেবক। যারা পরীক্ষা ছাড়া নিয়োগের আন্দোলন করে নৈরাজ্যের পথ বেছে নিয়েছিলেন, তারা নিশ্চয়ই আজ উপলব্ধি করছেন, তারা ভুল করেছেন। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নার্স নিয়োগের দাবির প্রেক্ষিতে সরকারের আশ্বাসের ওপর তাদের আস্থা রাখা উচিত ছিল।

তিনি বলেন, দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিধান অনুযায়ী পিএসসি’র মাধ্যমে পরীক্ষার কোনো বিকল্প নেই। নার্সদের দাবিকে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে বিবেচনা করে মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ অনুযায়ী পিএসসি পরীক্ষা পদ্ধতি সহজ করেছে, পরীক্ষার ধাপ কমিয়েছে। এক সঙ্গে প্রায় ১০ হাজার নার্স নিয়োগকে বিশ্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত।

এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিমান কুমার সাহা, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক ওয়াহিদ হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বিএমএ’র মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, অ্যাসেনসিয়াল ড্রাগস্ কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এহসানুল কবিরসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৬
এমএন/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।