ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ফেসবুকে প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ালে আইসিটি আইনে ব্যবস্থা 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৬
ফেসবুকে প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ালে আইসিটি আইনে ব্যবস্থা 

ঢাকা: মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ালে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।  
 
ফেসবুকসহ যেকোনো মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব রটনাকারীকে চিহ্নিত করতে সহায়তা করতে দু’টি হটলাইন নম্বরে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।

 
 
সোমবার (০৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কিত সভায় সভাপত্বিকালে মন্ত্রী একথা বলেন।  
 
২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা আগামী ০৭ অক্টোবর এবং বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
 
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ফলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। যদি কেউ ভূয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করে তবে তাকে চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য তিনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।
 
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এক শ্রেণির অসাধু চক্র সবসময় ভর্তি পরীক্ষার আগে সাজেশন বিক্রির অজুহাতে ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারসাজি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। দেশের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও নিরীহ অভিভাবকরা তাদের ষড়যন্ত্রের কবলে পড়ে বিভ্রান্তির শিকার হন। কিছু কিছু ভর্তি কোচিং সেন্টার এ ধরনের জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত।  

তিনি এদেরকে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেন।
 
মন্ত্রী গত বছরের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের গুজবের কথা তুলে ধরে বলেন, পরবর্তীতে তা আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয় এবং ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়।  
 
পরীক্ষায় সুষ্ঠু ও সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এ বছর সরকার অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
 
পরীক্ষা তত্ত্বাবধানে গঠিত ওভারসাইট কমিটিতে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার, কলামিস্ট ও মানবাধিকার ব্যক্তিত্ব সৈয়দ আবুল মকসুদ, সাংবাদিক নাইমুল ইসলাম খান, আবদুল কাইয়ুম, মঞ্জুরুল ইসলাম বুলবুলসহ দেশের চিকিৎসক সমাজ ও চিকিৎসা শিক্ষার জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিত্বদের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
 
সভায় স্বাস্থ্য অধিফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও পরীক্ষাগ্রহণ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।  
 
তিনি জানান, এ বছর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও বহন থেকে শুরু করে তালাবদ্ধ ট্রাঙ্ক খোলা পর্যন্ত বিশেষ ধরনের ট্র্যাকিং ডিভাইস সংযোগ রাখা হবে যাতে মনিটরিং ব্যবস্থা আরও জোরদার হয়েছে।  
 
তিনি ফেসবুকসহ যেকোনো মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব রটনাকারীকে চিহ্নিত করতে সহায়তা করতে তাৎক্ষণিকভাবে ৯৮৫৫৯৩৩ এবং ০১৭৫৯-১১৪৪৮৮ নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য আহ্বান জানান।
 
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চলতি বছর এমবিবিএসের জন্য আসন সংখ্যা সরকারি কলেজে তিন হাজার ২১২ ও বেসরকারি কলেজে ছয় হাজার ২০৫। পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৯০ হাজার ৪২৬ জন। ঢাকাসহ সারা দেশের ১৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রের ৩৭টি ভেন্যুতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
 
পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বহন, পরীক্ষাগ্রহণ ও উত্তরপত্র আনার সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।  
 
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্যসচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, বিএমএ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদসহ মন্ত্রণালয়, অধিদফতর, বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৬
এমআইএইচ/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।