ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্যখাতে বেসরকারিভাবে লোক নেবে সরকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৬
স্বাস্থ্যখাতে বেসরকারিভাবে লোক নেবে সরকার ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা

সরকার পাইলট প্রকল্প হিসেবে স্বাস্থ্যখাতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় জনবল নিয়োগের কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

ঢাকা: সরকার পাইলট প্রকল্প হিসেবে স্বাস্থ্যখাতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় জনবল নিয়োগের কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

রোববার (০৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘হেলথ ওয়ার্কফোর্স স্ট্র্যাটেজি ডিসেমিনেশন’ গাইডলাইনের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, পর্যাপ্ত জনবল ও মজবুত অবকাঠামো বিদ্যমান থাকার পরও সরকারি স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানসমূহের সেবার মান  নিয়ে প্রায় সময় অভিযোগ উঠে। এর কারণসমূহ খুঁজে বের করার প্রয়াস থেকেই বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় জনবল নিয়োগ ও ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থার বিষয়টি মাথায় এসেছে।  

তিনি বলেন, পাইলট প্রকল্পের অধীনস্থ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে স্বাস্থ্য সেক্টরের সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের সেবার মানের পার্থক্য নির্ণয় করা হবে। পরবর্তীতে পাইলট প্রকল্পের অভিজ্ঞতা ও বাস্তচিত্র দেশের প্রতিটি সরকারি স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন করা হবে।  

স্বাস্থ্য সচিব মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. এন পারানিথারান।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ওয়াহিদ হোসেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ডা.  সাজেদুল হাসান।  

জনবল নিয়োগে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার বিষয়টি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাস্থ্য সেক্টরে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। নতুন নতুন জনবল নিয়োগ এবং অবকাঠামো সম্প্রসারণে সরকারের আন্তরিকতার কমতি নেই। অপর্যাপ্ত দক্ষ জনশক্তির কারণে স্বাস্থ্য সেক্টরের সেবার মান  কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে না। জনবল নিয়োগে রয়েছে দীর্ঘসূত্রিতা।

সম্প্রতি দশ হাজার নার্স নিয়োগের বিষয়টি তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে নার্সদের পদায়ন বিলম্ব হচ্ছে। এতোদিন চলেছে পুলিশ ভেরিফিকেশন। দরকার হলেও পুলিশ ভেরিফিকেশনের কাজ সম্পন্ন হতে সময় লাগে। নিয়োগপ্রাপ্ত দশ হাজার নার্সের প্রত্যেকের বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য নিতে গেলে ১৫ বছরও লেগে যেতে পারে। অথচ স্বাস্থ্য সেক্টরে নার্সের সংকট চলছে। এর আগে ২শ’ চিকিৎসকের নিয়োগ সম্পন্ন করতে লেগেছিল প্রায় ২ বছর।  

সাধারণ মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে এমন সিস্টেম থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দিয়ে  মোহাম্মদ নাসিম বলেন, অনেক সময় বাস্তবতা দেখে সিস্টেম থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আমরা যতো নিয়ম ও সিস্টেম তৈরি করবো, ততো বেশি পিছিয়ে পড়বো।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ফাইল সামনে পেলেই একেক কর্মকর্তা নিজেদেরকে বিশাল কিছু ভাবতে শুরু করেন। ছাড়ার চেয়ে ফাইল আটকে রাখার কৌশল মাথায় আনেন।   ফাইলের কারণে পিছিয়ে যায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক কাজ। এটি এক ধরণের মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা। এমন প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৬
এমএন/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।