ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দোষী ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা বৃহস্পতিবারের মধ্যে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০১৭
দোষী ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা বৃহস্পতিবারের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ‘মিট দ্য প্রেস’ এ বক্তব্য ‍রাখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো.নাসিম; ছবি-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হাতে রোগীর স্বজন নিগৃহীত হওয়ার ঘটনার সত্যতা পেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি। কমিটি এ ঘটনাকে নিন্দনীয় ও গহির্ত কাজ হিসেবে তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। বর্তমানে এ প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে এসে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

বুধবার (মার্চ ১) বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আগামী কালের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ইন্টার্ন চিকিৎসককে আপা বলায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক রোগীর স্বজনদের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মারপিট করেন। এ ঘটনার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছিলেন।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বগুড়ার ঘটনার তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিয়েছে। আমি আজ (বুধবার) বা কালকের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে অ্যাকশন নেব। ’

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘বগুড়ার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি করেছিলাম। তাদের প্রতিবেদনের একটি লাইন আমি পড়ছি- ইন্টার্ন চিকিৎসক কর্তৃক ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও রোগীর পুত্রকে শারীরিক নির্যাতন একটি গর্হিত কাজ বলে কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি এর একটি প্রতিবিধান করা উচিত, তা করব আমি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহেদ মালেক বলেন, ‘আমরা একটি পরিসংখ্যান করেছি। আমাদের অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসকের দরকার প্রায় এক হাজার ৫০০ থেকে এক হাজার ৬০০ জন। আছে ৫০০ জনের মতো। এখানে একটা বড় গ্যাপ আছে। এখন আমরা অ্যানেসথেসিয়ার উপর সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় দিচ্ছি। আগামী এক থেকে দেড় বছরের মতো এ ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে। ’

তিনি বলেন, ‘দরিদ্র জনগণকে স্বাস্থ্য সেবা দিতে টাঙ্গাইলে কালিহাতীতে পরীক্ষামূলকভাবে স্বাস্থ্য বিমার কাজ চলছে। এখান থেকে আমরা বুঝতে পারব কী সমস্যা আছে কি সমস্যা নেই। পাইলট প্রজেক্টটিকেই ইভালুয়েট করে পরবর্তী সময়ে বৃহত্তর প্রজেক্টে যাব। ’

এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেন, ‘কালিহাতীতে গরিব মানুষকে ৫০ রকমের অসুখের চিকিৎসার জন্য হেলথ কার্ড দেওয়া হচ্ছে। কনসালটেন্ট কোম্পানি কাজ করছে। এখানে সফল হলে মধুপুর ও ঘাটাইলেও এ প্রকল্প নেওয়া হবে। সেখানেও সফল হলে আরও সম্প্রসারণ করা হবে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০১৭
আরএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।