ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বাংলাদেশ মেডিকেলে ‘অবহেলায়’ শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৮ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৭
বাংলাদেশ মেডিকেলে ‘অবহেলায়’ শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ফটক

ঢাকা: রাজধানীর ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাসেবায় অবহেলায় আলী নামে ১৩ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

বুধবার (১০ মে) দুপুরে রায়ের বাজার এলাকা থেকে জ্বর ও বমিজনিত অসুস্থতায় আলীকে হাসপাতালটিতে নিয়ে আসার পর অনেকক্ষণ বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা।

স্বজনরা দাবি করেন, মারাত্মক অসুস্থতার কারণে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে এলে তাকে বিনা চিকিৎসায় বেডে ফেলে রাখেন হাসপাতালের নার্সরা।

দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে যাওয়ার পরও চিকিৎসা না দেওয়ায় স্বজনরা এ নিয়ে কথা বলতে গেলে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। এরমধ্যে শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) নিয়ে যাওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই শিশুটি মারা যায়।  

রোগীর মামা জুয়েল বাংলানিউজকে বলেন, আমার ভাগিনার জ্বর ও বমি হচ্ছিল। দুপুরে রিকশাযোগে বাসা থেকে বাংলাদেশ মেডিকেলে নিয়ে আসা হলে সেখানে নার্স ও ওয়ার্ড বয় আলীকে দীর্ঘক্ষণ একটি বেডে ফেলে রাখেন।  

তিনি বলেন, এখানে গুরুত্ব দিয়ে আমার ভাগিনার চিকিৎসা করা হচ্ছিলো না বলে অন্য হাসপাতালে নিতে চাই, তখন ওয়ার্ড বয় ও নার্স আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ শুরু করে। তাছাড়া, আমরা জানতে পারি ছুটির দিন হওয়ায় এই হাসপাতালেও তেমন চিকিৎসক ছিলেন না। অবস্থার অবনতি হলে আলীকে আইসিইউতে নেওয়া হলে বিকেল ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আলীর মৃত্যুর পর তার স্বজনরা হাসপাতালের নার্স ও ডাক্তারের ওপর চড়াও হন। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি ও হাতাহাতি হয়। খবর পেয়ে ধানমন্ডি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণে আনে।   

এ বিষয়ে ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিরাজ বাংলানিউজকে জানান, চিকিৎসাসেবায় অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে— এমন অভিযোগে হাসপাতালে একটু ঝামেলা হয়েছিলো। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।  

ঘটনার সমাধানে রোগীর স্বজন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নিয়ে পুলিশ আলোচনা করছে বলে জানা গেছে।

শিশু আলীর বাবার নাম মো. উজ্জল। তিনি ঢাকায় প্রিন্টিং প্রেস সাপ্লাইয়ার হিসেবে কাজ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৭
এসজেএ/এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।