ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

যোগ দিবস উদযাপনে মোদীর শুভেচ্ছা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৪ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৭
যোগ দিবস উদযাপনে মোদীর শুভেচ্ছা যোগ দিবস উদযাপনে মোদীর শুভেচ্ছা

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আয়োজিত আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদাযাপন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

বুধবার (২১ জুন) সকাল ৭টায় এ অনুষ্ঠান শুরু হয় মোদীর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। তিনি ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানিয়ে স্টেডিয়ামে আগতদের উদ্দেশে বলেন, যোগ ব্যায়াম শরীর, মন ও আত্মাকে যোগ করে।

যেকোনো পীড়া পেইন থেকে জীবনকে প্রসন্ন করে। এর মাধ্যমে এক সম্পূর্ণ জীবনকে অনুধাবন করা যায়।

তিনি বলেন, জীবনাচরণ, অন্তরাত্মাকে জানতে যোগ একটি মাধ্যম। নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে এসব জানা যায়। তাই সবার প্রতি অনুরোধ, প্রতিবছর অনুশীলনকারীর সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নিন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, শারীরিক ও মানসিক বন্ধনকে নিবীড় করে যোগ। এটা প্রাচীন ঐতিহ্য বলে স্বীকৃত।

তিনি বলেন, বর্তমানের এ ব্যস্ত প্রযুক্তির যুগে যোগ খুব কার্যকরী বলে বিবেচিত হচ্ছে। এজন্য ২০১৪ সালে ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। ১৭৭টি দেশ সে সময় সমর্থন দিয়েছিল। আমি আনন্দিত, কারণ বাংলাদেশেও যোগ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আয়োজিত আন্তর্জাতিক যোগ দিবস- ছবি: দীপু মালাকার
ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত হলো যোগ দিবস। যোগ ব্যায়াম শুধুমাত্র শারীরিক অনুশীলন নয়। এটা সুস্বাস্থ্য ও সুন্দর মনের সামগ্রিক পদ্ধতি। যোগ মানুষ ও প্রকৃতির মধ্যে মাধুর্য ছড়িয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশে যোগের জন্য আমরা গত দুই মাস বিভিন্ন হাসপাতাল ও  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করেছি।

যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী শ্রী বীরেন শিকদার বলেন, মানসিক উৎকর্ষতায় যোগ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, পাশ্চাত্য কলা কৌশলে শারীরিক সুস্থতা পাওয়া যায়। কিন্তু মনের সুস্থতা পাওয়া যায় না।

ভারতীয় হাই কমিশন আয়োজিত যোগ দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে ভোর থেকেই রাজধানীবাসী অংশ নিতে শুরু করে। সকাল ৭টা নাগাদ স্টেডিয়াম পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এতে রাজনীতিবিদ, শিল্পী, খেলোয়ারসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে তিনটি দলগত ও একটি কমন ইয়োগা চর্চা করা হয়। কমন চর্চা পরিচালনা করেন ভারত থেকে আসা ইয়োগা গুরু সুমিত কুমার ও অদিতি গুঁই।

দলগত ইয়োগা পরিচালনা করে যোগ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ ইয়োগা অ্যাসোসিয়েশন ও ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার।

২০১৫ সালে প্রথম ভারতীয় হাই কমিশন জাতীয় যাদুঘরে যোগ দিবস উদযাপন করে। ২০১৬ সালে এ আয়োজন করা হয় মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে।

ধীরে ধীরে এতে মানুষের অংশগ্রহণ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ভারতের হাই কমিশনের কর্মকর্তা মণ্ডল রঞ্জন।  

তিনি বলেন, এবার সাড়ে তিন হাজার ম্যাট দেয়া হয়েছিল। সেগুলোতে আসন পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় অনেককে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে।
‘সামঞ্জস্য ও শান্তির জন্য যোগ’ স্লোগানে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের আয়োজন।  ছবি: দীপু মালাকার

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের যোগ ব্যায়ামকারীদের সুবিধার্থে একটি মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন করা হয়। 'Common Yoga Protocol Bangladesh'  নামে অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ফ্রি ডাউনলোড করা যাবে। এ সময় ভারত বিচিত্রার যোগ সংখ্যাও প্রকাশ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫১ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৭
ইইউডি/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।