ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ক্যান্সার নিরাময়ে আঞ্চলিক ক্যান্সার কেন্দ্রের দাবি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
ক্যান্সার নিরাময়ে আঞ্চলিক ক্যান্সার কেন্দ্রের দাবি গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিন দিন ক্যান্সার রোগের হার ব‍াড়ছে। কিন্তু প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার শনাক্ত হলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে ও চিকিৎসার ব্যয় কমে। সে লক্ষ্যে ঢাকার বাইরে আটটি বিভাগে একটি করে আঞ্চলিক ক্যান্সার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে সেন্টার ফর ক্যান্সার প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ (সিসিপিআর)। 

একইসঙ্গে উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ক্যান্সার সেবা চালু করারও দাবি জানিয়েছেন তারা।  

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সিসিপিআর আয়োজিত ও রোটারি ক্লাব অব ঢাকা গোল্ডেন সিটির সার্বিক সহযোগিতায় ক্যান্সার নিরাময়ে আঞ্চলিক ক্যান্সার কেন্দ্রের প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়।

বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ক্যান্সার রিসার্চ অ্যান্ড হসপিটালের সহযোগী অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন। আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনি ও অনকোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর সাবেরা খাতুন, রোটারি ক্লাবের নির্বাচিত আগামী বছরের গভর্নর ডা. এফ আলমগীসহ রোটারি ক্লাব ও সিসিপিআরের নেত‍ারা।  

বৈঠকে অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন বলেন, আমরা বিশ্বাস করি ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকার যথেষ্ট আন্তরিক। প্রচুর অর্থ এক্ষেত্রে বরাদ্দ করা হয়। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এখন এগিয়ে এসেছে। কিন্তু সব হয়ে যাচ্ছে ঢাকাকেন্দ্রিক। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে এ রোগ নিরুপণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে আঞ্চলিক নিরাময় কেন্দ্র একটি অপরিহার্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।  

আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলো বিষয়ে তিনি বলেন, এই কেন্দ্রগুলো হবে ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের একটি সংক্ষিপ্ত সংস্করণ। এখানে ক্যান্সার চিকিৎসার সবগুলো পদ্ধতির ব্যবস্থা থাকবে। আর এই কেন্দ্রগুলোকেই ভিত্তি করে উপজেলাগুলোতে নিবন্ধন, রোগনির্ণয়, জনসচেতনতা ও সীমিত প্রশমন সেবা পরিচালিত হবে। এছাড়া বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের রেডিওথেরাপি বিভাগে কিংবা ক্যাম্পাসের অবকাঠামোগুলোতে এই কেন্দ্র গড়ে তোলা যেতে পারে।  

আপাতত ১শ’ বেডের ইনডোর, জরুরি বিভাগ, ৫০ বেডের ডে কেয়ার সেন্টার, দুই থেকে তিনটি অপারেশন সেন্টারসহ প্যাথলজি রেডিওলজি, ক্যান্সার ইপডেমিওলজি বিভাগ এবং একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে আঞ্চলিক ক্যান্সার নিরাময় কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে বলেও জানান এই ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ।

বৈঠকে বক্তারা বলেন, আমরা প্রতিদিন ক্যান্সারের রোগী পাচ্ছি যারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে এবং তাদের ঢাকায় থাকার কোনো ব্যবস্থা থাকে না। তাদের চিকিৎসা পরিচালনায় ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হই। এদিকে জনসচেতনতার অভাবে বেশিরভাগ রোগীরা প্রাথমিক অবস্থায় আসতে পারে না। তাই আমাদেরও কিছু করার থাকে না। এক্ষেত্রে সরকারকে আরও মনযোগী হওয়ার অনুরোধ জানাই।  

দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ক্যান্সার রোগী ও ক্যান্সার রোগে নিরাময়কৃত সুস্থরাও অংশ নিয়ে ক্যান্সার রোগ সম্পর্কে তাদের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
এমএএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।