ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

শেবাচিমে আইসিইউ ইউনিটের উদ্ভোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
শেবাচিমে আইসিইউ ইউনিটের উদ্ভোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বরিশাল: বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে মুমূর্ষু রোগীদের নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য আইসিউ ইউনিট অনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ভোধন করলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মো. নাসিম।

রোববার (২৩ জুলাই) দুপুরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন দ্বিতীল একটি ভবনের নিচতলায় ইউনিটটি’র উদ্ভোধন করা হয়।

এরমধ্য দিয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে চালু হওয়ার ১৭ মাস পর ইউনিটটি নিজস্ব পন্থায় স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে রোগীকে সেবা দিতে পারবে।

উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর সঙ্গে বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. তালুকদার মো. ইউনুস, বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ ও বরিশাল-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. টিপু সুলতান উপস্থিত ছিলেন।
 
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহাসচিব ডা. এহেতসামুল হক চৌধুরী দুলাল ও বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ডা. শরফুদ্দিন আহম্মেদ, শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ভাস্কর সাহা, পরিচালক ডা. এসএম সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি ডা. মো. ইসতিয়াক হোসেন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের বরিশাল জেলা সভাপতি ডা. মু. কামরুল হাসান সেলিম, সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এএসএম সারফুজ্জামান রুবেলসহ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

উদ্ভোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্মাণাধীন ভবনটির অবশিষ্ট কাজ আগামী ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে বলে জানান। পাশাপাশি রোগীর পেটে গজ রেখে সেলাই করে দেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের মার্চ মাসের শেষের দিকে হাসপাতালের বর্তমান পরিচালক ডা. এসএম সিরাজুল ইসলাম দায়িত্ব নিয়ে ইউনিটটির কার্যক্রম শুরু করে। দীর্ঘ ১৭ মাস পর রোববার ইউনিটটির অনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম।  

ওই ১৭ মাসে এ ইউনিটে অনেকটা বিনা খরচেই চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে ৩৬৫ রোগীকে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০৫ জন রোগী।  

ইউনিটে রয়েছে ১০টি আইসিইউ শয্যা, ভেন্টিলেটার, ২১টি মনিটর, ১৬টি সেন্ট্রাল মনিটর, ৫টি বেড সাইট মনিটর। ইউনিটটিতে রোগীর সার্বক্ষণিক সেবায় নিয়োজিত আছেন ১০ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্সসহ ১৩ নার্স ও একজন চিকিৎসক।

ইউনিটের নার্সেস ইনচার্জ ফরিদা বেগম জানিয়েছেন, আইসিইউ রোগীদের সেবার জন্য আমরা ঢাকা থেকে যে প্রশিক্ষণ পেয়েছি তা যথেষ্ট।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
এমএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।