ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

এদেশে প্রায় সব ওষুধই ‘ওভার দ্য কাউন্টার ড্রাগ’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৭
এদেশে প্রায় সব ওষুধই ‘ওভার দ্য কাউন্টার ড্রাগ’ ‘বিশ্বব্যাপী ওটিসি ড্রাগ নীতিমালা পরিস্থিতি: বাংলাদেশের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা; ছবি:বাংলানিউজ

ঢাকা: বর্তমানে দেশের প্রায় সব ওষুধই ‘ওভার দ্যা কাউন্টার’ (ওটিসি) ড্রাগে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এবং প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য, পরিবার ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সৈয়দ মোদাস্‌সের আলী।

রোববার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর মহাখালীর ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে ‘বিশ্বব্যাপী ওটিসি ড্রাগ নীতিমালা পরিস্থিতি: বাংলাদেশের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

উল্লেখ্য, ওটিসি বা ওভার দ্য কাউন্টার ড্রাগ হচ্ছে সেই ওষুধ, যা যে কেউ ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই দোকানে গিয়ে চাইলেই কিনতে পারেন।

যা বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির জন্ম দিতে পারে।

ড. সৈয়দ মোদাস্‌সের আলী বলেন, আমাদের দেশের ওষুধ নীতিমালা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নীতিমালা থেকেও শক্তিশালী। এরপরও বর্তমানে দেশের প্রায় সব ওষুধই ‘ওভার দ্য কাউন্টার’ ড্রাগে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থা থেকে রাতারাতি উত্তরণ সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। এই সমস্যা দূর করতে পারে ওষুধের গ্রাহকদের সাথে চিকিৎসকদের যথাযথ যোগাযোগ।

তিনি বলেন, একমাত্র সচেতনতাই সুপারিশকৃত ওষুধ আর ওটিসি ড্রাগের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে ক্রেতাদের সাহায্য করতে পারে। আর একাজে ড্রাগ কেমিস্টস অ্যাসোসিয়েশন থেকে শুরু করে নীতি নির্ধারকসহ সমস্ত ওষুধশিল্পের সবার অংশগ্রহণ জরুরি। কেননা এরা একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে। তাই সবাইকে সাথে না পেলে সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়।

তিনি ওটিসি ড্রাগ নীতিমালা প্রণয়নে একটি কমিটি গঠন এবং ওটিসি ড্রাগের গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগের পাশাপাশি ওটিসি ড্রাগের তালিকা বাড়ানোর আহ্বান জানান।   

দেশ বর্তমানে জনস্বাস্থ্য বিষয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে ৭০% অবদানই গণমাধ্যম কর্মীদের।

আলোচনা সভায় ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (ডিজিডিএ) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বর্তমানে দেশে প্রায় ২০,০০০ লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ফার্মেসি চালু আছে। আমরা এসব ফার্মেসি বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছি। এরই মধ্যে ৪০টি ফার্মেসির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আমরা ধীরে ধীরে সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এখন আমরা বিশেষ নজর দিয়েছি ‘ওভার দ্য কাউন্টার’ ড্রাগ বিষয়ে।

তিনি বলেন, ওভার দ্য কাউন্টার ড্রাগের বিষয়ে আমার পরামর্শ হলো গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করার পাশাপাশি ওটিসি ড্রাগের বিষয়ে বিজ্ঞাপন প্রচারের সুযোগ সৃষ্টি করা। এক্ষেত্রে আরও একটি কাজ করা যেতে পারে, তা হলো ওটিসি ড্রাগের বিশেষ মোড়কীকরণ। যেমন, নির্দেশনাগুলো বিশেষ রঙে চিহ্নিত করা। এই উদ্যোগ সফল করতে আমরা গণমাধ্যম সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

এ সময় আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিজিডিএ-এর অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর মো. সালাউদ্দিন ও ডিরেক্টর মো.রুহুল আমিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৭
এমএসি/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।