ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

শেবাচিমে রোগীর স্বজনের হাতে চিকিৎসক লাঞ্ছিতের অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৭
শেবাচিমে রোগীর স্বজনের হাতে চিকিৎসক লাঞ্ছিতের অভিযোগ

বরিশাল: বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে রোগীর স্বজনের হাতে ইন্টার্ন চিকিৎসক লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা রোগীর ওই স্বজনকে প্রথমে মারধর করলেও পরে ক্ষমা চাওয়ায় পরিস্থিতি শান্ত থাকে।

পাশাপাশি ইন্টার্নরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেও পরিচালকের আশ্বাসে তারা নিজ নিজ স্থানে ফিরে যায়।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের ইউনিট-১ এ মাহাদী নামের এক ইন্টার্ন চিকিৎসক ও রোগীর এক স্বজনের মধ্যে ওই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোগীর ওই স্বজন ওষুধ নিয়ে ওয়ার্ডের ভেতরে প্রবেশ করলে চিকিৎসক তাকে বাইরে যেতে বলেন। এসময় চিকিৎসক ও রোগীর ওই স্বজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা রোগীর ওই স্বজনকে মারধর করেন।

হাসপাতালের ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. নাহিদ জানান, তাদের এক ইন্টার্ন চিকিৎসক রাউন্ডের আগে মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের রোগীর সঙ্গে থাকা অতিরিক্ত স্বজনদের বের হয়ে যেতে বলেন। এসময় এক স্বজন বাধ সাধলে ইন্টার্ন চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করে।  

পরে অন্য ইন্টার্ন চিকিৎসকরা গিয়ে রোগীর ওই স্বজনকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি অশোভন আচরণ করলে ২/১ একটি চড়-থাপ্পর দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

তবে ঘন ঘন রোগীর স্বজনদের সঙ্গে এ ধরনের ঘটনায় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা পরিচালকের কার্যালয়ে যান। সেখানে পরিচালক রোগীর ভিজিটর নিয়ন্ত্রণে আনার কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন বলে আশ্বস্ত করলে ইন্টার্নরা কর্মস্থলে ফিরে যান।

এ বিষয়ে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মুস্তাফিজুর রহমান জানান, রোগীর ভিজিটর নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য তিনটি গেটে কিছু লোক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসকের রাউন্ড চলাকালে ওয়ার্ডেও ভিজিটর নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলছে। আজকের ঘটনায় রোগীর ওই ভিজিটর ক্ষমা চাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বাংলা‌দেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৭
এমএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।