ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

কাউকে জেলে পাঠানোর ইচ্ছা আমাদের নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮
কাউকে জেলে পাঠানোর ইচ্ছা আমাদের নেই ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কার্যালয়ে উপস্থিত অতিথিরা-ছবি- শাকিল

ঢাকা: কাউকে জেলে পাঠানোর ইচ্ছা আমাদের নেই। জেলখানা আরামের জায়গা নয়। এছাড়া আমরা চাই সবাই একসঙ্গে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জাতিকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কার্যালয়ে ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরি বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড (বিএবি) কর্তৃক আইএসও১৭০২৫ সনদ প্রাপ্তি উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

মন্ত্রী বলেন, জেলখানায় আমিও গিয়েছি।

জেলের মধ্যে কোনো শান্তি নেই। এর মধ্যে একবার ১৯৯৬ সালে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ হওয়ার কারণে বিএনপি আমলে জেলে গিয়েছিলাম। তখন একটা কম্বল আর প্রচণ্ড মশার কামড় ছাড়া আর কিছুই পাই নি। তাই জেলে থাকার কষ্ট আমি বুঝি। সহমর্মিতার জায়গা থেকেই আমরা চাই না কোনো নেতা আর জেলে যাক। তখন আমার পাশের সেলে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদও ছিলেন। তিনি এখন ভুলে গেছেন।

বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচয় দিতে হলে আমাদের আরও সময় প্রয়োজন উল্লেখ করে নাসিম বলেন, বিশ্বের কোনো রাষ্ট্রই অল্প সময়ে উন্নত দেশ হিসেবে দাঁড়াতে পারেনি। চীন, ভারত, মালয়েশিয়া সব দেশেই অনেকদিন এক শাসন ক্ষমতা থাকার কারণেই উন্নত হতে পেরেছে। আমরাও জনগণের কাছে সময় চাই। উন্নয়নের ধারা এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্ল্যানিং আছে, অর্থ সমাবেশের প্রক্রিয়া চলছে। কিছুটা ভুল হলেও উন্নতি কিন্তু থেমে নেই। আমরা বিদ্যুৎ সমস্যা, জঙ্গিবাদ নির্মূল, রোহিঙ্গা সংকট সবকিছু সঠিকভাবে সমাধান করেছি। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেলের কাজও চলছে। এসব উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে হলে আমাদের আবার ক্ষমতায় আসতে হবে।

শুধু তৈরিকৃত ওষুধ নয়, বাংলাদেশ কিছুদিনের মধ্যেই ওষুধের কাঁচামাল রপ্তানি করতে পারবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওষুধ রপ্তানির পাশাপাশি আমরা কিছুদিনের মধ্যে ওষুধ তৈরির কাঁচামালও রপ্তানি করতে পারবো। এরইমধ্যে চীন আমাদের কাছে কাঁচামাল চেয়েছে। এই রপ্তানি যতো বেশি হচ্ছে ততোই আমাদের ব্যবসায়িক ঝুঁকিও বাড়ছে।  

এসময় মন্ত্রী ওষুধ প্রশাসনের ল্যাবরেটরির অল্প পরিমাণ লোকবল নিয়ে এমন সাফল্যের প্রশংসা করেন এবং খুব দ্রুত ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের সার্টিফিকেট পাওয়ার আশায় গবেষণা কার্যক্রম বাড়াতে জনবল বৃদ্ধির আশ্বাস দেন।  

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসান, স্বাস্থ্য সচিব সিরাজুল হক খান, ফার্মাসি কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট এম মোসাদ্দেক হোসেন, ওষুধ প্রশাসনের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব মো. শফিউজ্জামানসহ আরও অনেকে।  

সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশে প্রথম ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিই বিএবি কর্তৃক ISO 17025: standard অনুযায়ী অ্যাক্রিডিটেশন সনদ অর্জন করেছে। অ্যাক্রিডিটেশন প্রাপ্তির ফলে অধিকতর মানসম্পন্ন ওষুধ নিশ্চিত করা, নকল, ভেজাল ও মানবহির্ভূত ওষুধ বাদ দেওয়া, আন্তর্জাতিক বাজারে আরও অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮
এমএএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।