ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

খাদ্য অধিকার আইনের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৮
খাদ্য অধিকার আইনের দাবি পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চিতে মানববন্ধন/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সবার জন্য পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চিত করতে খাদ্য অধিকার আইনের প্রয়োজন বলে দাবি জানিয়েছে খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ নামক একটি সংগঠন।

মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনটির আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা জানান, খাদ্যের সঙ্গে পুষ্ঠির নিরাপত্তার বিষয়টি সরাসরি জড়িত।

মায়ের গর্ভ থেকে শিশুর জন্ম, বেড়ে ওঠা, যৌবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য প্রাপ্তি সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খাবারের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন মানুষের জীবনধারনের পাশাপাশি শারীরিক, মানসিক বিকাশ ও উৎপাদনশীলতার উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখে। যার কারণে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য সবার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ এখন প্রায় আড়াই কোটি মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। গত ১০ বছরে অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভোগা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে সাত লাখ। গতবছর ১৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি পরিস্থিতি ২০১৭ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মহসিন আলী, সহ-সভাপতি শাহিনা আক্তার ডলি, আতাউর রহমান লিটন, সৈয়দ তরিকুল ইসলাম, কানিজ ফাতেমা, মীর নেওয়াজসহ প্রমুখ।  

এ সময় বক্তারা খাদ্যের সঙ্গে পুষ্টি নিরাপত্তা, নিরাপদ খাদ্য এবং খাদ্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নাগরিক সমাজের প্রতি সুপারিশমালা উত্থাপন করেন। সুপারিশগুলো হলো- দারিদ্র্য প্রবণ এলাকা ও জনগোষ্ঠীর মধ্যে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তাসহ দারিদ্র্য বিমোচনে বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ। নারী ও শিশুদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ক্ষেত্রে উপকারভোগী নির্বাচন নিশ্চিত করা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় পুষ্টিকর খাদ্যসহ সব ক্ষেত্রে যথাযথ পূর্ব প্রস্তুতি নিশ্চিত করা। বরাদ্দ অনুযায়ী উপকারভোগীদের খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। জেলা উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি গঠন করা। নিরাপদ খাদ্য আইন ও জনগণের করণীয় সম্পর্কে তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা। নিরাপদ খাদ্যের ক্ষেত্রে অপরাধীদের আইনানুগ শাস্তি প্রদান করা। খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করতে হবে। এসডিজি'র এক ও দুই নম্বর লক্ষ্য অর্জনে সংশ্লিষ্ট সব ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের যথাযথ উদ্যোগ নিশ্চিত করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৮
এমএএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।