ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

অনুর্বরতার ঝুঁকি দ্বিগুণ করে ফাস্টফুড

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৭ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৮
অনুর্বরতার ঝুঁকি দ্বিগুণ করে ফাস্টফুড অনুর্বরতার ঝুঁকি দ্বিগুণ করে ফাস্টফুড

ঢাকা: নারীদের গ্রহণ করা খাদ্য তার প্রজনন ক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে নতুন একটি গবেষণায় উঠে এসেছে।

গবেষকরা জানান, বাচ্চা নেওয়ার বয়সে প্রতিনিয়ত ফাস্টফুড খেলে নারীর অনুর্বরতার ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়ে যায়। আর পর্যাপ্ত ফলমূল না খেলে এ ঝুঁকি বাড়ে ৫০ শতাংশ।

 

অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডের প্রায় পাঁচ হাজার ৬শ নারীর ওপর পরিচালিত গবেষণার ফলাফলটি প্রকাশিত হয় বৃহস্পতিবার (৩ মে) ‘হিউম্যান রিপ্রোডাকশন’ জার্নালে। এতে অংশ নেওয়া নারীদের সবাই ১৮ থেকে ৪৩ বছর বয়সী এবং প্রথমবারের মতো গর্ভধারণ করতে চলেছেন।  

তাদের গর্ভধারণের আগের এক মাসের খাদ্যতালিকা সংগ্রহ করা হয়। বিভিন্ন তথ্যের সঙ্গে আরও জেনে নেওয়া হয়, গর্ভধারণের জন্য তারা কতদিন ধরে চেষ্টা চালিয়েছেন।  

গর্ভধারণের জন্য এক বছর বা তারও বেশি সময় ধরে চেষ্টা চালানো নারীদের ‘ইনফার্টাইল’ (অনুর্বর) তালিকায় রাখা হয়। এ তালিকায় স্থান পান আট শতাংশ নারী। আর সবচেয়ে কম ফলমূল খাওয়া নারীদের ক্ষেত্রে এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন ১২ শতাংশ নারী। এভাবে, অনুর্বর নারীর সংখ্যা ৮ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশে বাড়াকে হিসাবের খাতায় ‘৫০ শতাংশ বৃদ্ধি’ বলা হয়েছে।

আর যারা প্রতিসপ্তাহে চারবারের বেশি ফাস্টফুড খেয়েছেন, তাদের মধ্যে অনুর্বরতা দেখা দিয়েছে ১৬ শতাংশ। সুতরাং, এক্ষেত্রে হিসাব অনুযায়ী অনুর্বরতার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে দ্বিগুণ।

এই গবেষণা কার্যক্রমটির নেতৃত্ব দেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ক্ল্যার রবার্টস।  

তিনি জানান, গবেষণায় নারীদের বয়স, ধূমপানের অভ্যাস, অ্যালকোহল গ্রহণ, স্থূলতা ইত্যাদি বিষয়বস্তুগুলোর সমন্বয় করা হয়েছে, যাতে গর্ভধারণের সঙ্গে শুধু খাদ্যগ্রহণের প্রভাব ফুটে ওঠে।

ব্রিটিশ ফার্টিলিটি সোসাইটির সেক্রেটারি রাজ মাথুর মনে করেন, যারা গর্ভধারণের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন তাদের জন্য এ গবেষণাটি কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। এতে দেখা যাচ্ছে, গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুতজাত খাবার খারাপ ও তাজা ফলমূল-শাকসবজি ভালো।  

তবে এ গবেষণায় কেবল খাদ্যতালিকার সঙ্গে অনুর্বরতার ঝুঁকি খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। কোনো নির্দিষ্ট খাদ্য প্রজনন ক্ষমতাকে সরাসরি প্রভাবিত করে কিনা তা জানতে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ সময়: ০২৫৭ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৮
এনএইচটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।