ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার বিষয়ে নীতিমালা হচ্ছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৮
বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার বিষয়ে নীতিমালা হচ্ছে

জাতীয় সংসদ অধিবেশন থেকে: বাংলাদেশের রোগীদের বিদেশ গিয়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
 
 

বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) বিকেলে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। তবে নাসিমের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে সংসদে উত্তর দেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।


 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর দেশ থেকে চিকিৎসার জন্য কিছুসংখ্যক রোগী বিদেশে চলে যান। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রধানত চারটি কারণে বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে থাকে। কারণগুলো হচ্ছে- আর্থিক স্বচ্ছলতা, বিদেশে চিকিৎসা-প্রীতি, হেলথ ট্যুরিজম ও বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে উপযুক্ত চিকিৎসক-স্বল্পতা। এ প্রবণতা রোধকল্পে আমাদের দেশে সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালকে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সুসজ্জিতকরণের মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
 
‘বাংলাদেশে বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের বেশ কিছু আধুনিক হাসপাতাল, যেখানে অন্য দেশ থেকে এসে রোগীরা চিকিৎসা নেওয়ার বহু নজির রয়েছে। দেশের রোগীদের বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।  এ পর্যন্ত কতোজন রোগী বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে পেরেছেন এবং কতো টাকা ব্যয় হয়েছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান আপাতত দেওয়া সম্ভব নয়। তবে নীতিমালা প্রণয়নের পর এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য দেওয়া সম্ভব হবে। ’
 
সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রীর পক্ষে প্রতিমন্ত্রী জানান, ওষুধ কোম্পানিগুলো উৎপাদন বা বিপণন কমিয়ে বেশির ভাগ সময় কৃত্রিম সংকট তৈরির মাধ্যমে দাম বাড়ায়- এই বিষয়টি সঠিক নয়। বর্তমানে দেশের চাহিদার প্রয় ৯৮ শতাংশ ওষুধ স্থানীয় উৎপাদনের মাধ্যমে মেটাতে সক্ষম।
 
‘একই জেনেরিকের ওষুধ দুই বা ততোধিক কোম্পানি উৎপাদন করে থাকে বিধায় প্রতিযোগিতামূলক বাজারে মূল্য পরিস্থিতির ওপর ‘ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর’র নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে। তবে কোনো কোম্পানি বাজারে ওষুধের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করলে এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ওষুধ বিক্রির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে। ’
 
অপর প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে যক্ষ্মা কোনো প্রাণঘাতী রোগ নয়, চিকিৎসার মাধ্যমে শিশুদের যক্ষ্মা পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য। অতীতে শিশু রোগী শনাক্ত ও চিকিৎসার বাইরে ছিল, তাই যক্ষ্মায় মৃত্যু হতো। বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে শিশুদের যক্ষ্মা নির্ণয় ও চিকিৎসার আওতায় আনা যাচ্ছে। তাই অধিকসংখ্যক শিশু রোগীকে চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় করা সম্ভব হচ্ছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৮
এসএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।