ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ জুলাই ২০২৪, ২৪ জিলহজ ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

সুপ্ত ম্যালেরিয়া জীবাণু রুখবে নতুন ওষুধ

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩১ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৮
সুপ্ত ম্যালেরিয়া জীবাণু রুখবে নতুন ওষুধ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ‘প্লাসমোডিয়াম ভিভাক্স’ জীবাণুর ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক একটি ওষুধ ৬০ বছরের মধ্যে প্রথম অনুমোদন পেতে যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ ‘টেফিনোকুইন’ নামের ওই ওষুধটি অনুমোদনের জন্য ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।

প্রত্যেক বছর ৮৫ লাখের বেশি মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়। অনুমোদন পেতে যাওয়া নতুন ওষুধটি ম্যালেরিয়া সংক্রমণ থেকে নিরাময়ের জন্য বিশেষভাবে ব্যবহার হবে।

ম্যালেরিয়া সাধারণত মানুষের যকৃতে সুপ্ত অবস্থায় থাকে। অনেক ক্ষেত্রেই বহু বছর সুপ্ত থাকার পর সংক্রমণটি সক্রিয় হয়। নতুন এ প্রতিষেধকটি ম্যালেরিয়ার সুপ্তাবস্থার মোকাবেলা করবে।

বিজ্ঞানীরা অনুমোদন পেতে যাওয়া প্রতিষেধক টেফিনোকুইনকে ‘বিস্ময়কর অর্জন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

ম্যালেরিয়া রোগের একটি জীবাণুর নাম ‘প্লাসমোডিয়াম ভিভাক্স’। সাব-সাহারান আফ্রিকা অঞ্চলের বাইরে এ ধরনের ম্যালেরিয়া জীবাণু পাওয়া যায়।

জীবাণুটির কারণে শিশুরা সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হয়। একজনের শরীর থেকে আর একজনের শরীরে মশার কামড়ের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়। যার ফলে এ জীবাণুর ম্যালেরিয়া সংক্রমণ থেকে নিরাময় কঠিন হয়ে পড়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ‘টেফিনোকুইন’ প্রতিষেধকটির অনুমোদন দিচ্ছে। প্রতিষেধকটি সুপ্ত থাকা ম্যালেরিয়ার জীবাণু সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে। এছাড়া পুনরায় এ জীবাণুর সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করবে।

ম্যালেরিয়া সংক্রমণ থেকে রক্ষার অন্যান্য ওষুধের পাশাপাশি এটিও ব্যবহার করা যাবে।

যকৃতে সুপ্ত অবস্থায় থাকা ম্যালেরিয়া জীবাণুর সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এক ধরনের ওষুধ বাজারে পাওয়া যায়। এ ওষুধটির নাম ‘পিরামাকুইন’। সাধারণত ১৪ দিন সেবন করতে হয়। আর নতুন এই টেফিনোকুইনের শুধুমাত্র একটি ডোজের প্রয়োজন পড়ে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পিরামাকুইন সেবনের কিছুদিন পর অনেকেই সুস্থ হয়ে যায় এবং ওষুধ সেবন বাদ দিয়ে দেয়। কিন্তু এর ফলে পরজীবীটি আবার সক্রিয় হয়ে উঠে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর রিক প্রাইস বলেন, টেফিনোকুইনের শুধুমাত্র এক ডোজের মাধ্যমে যকৃতে সুপ্ত থাকা ম্যালেরিয়া জীবাণুর নিরাময় একটি ‘বিস্ময়কর অর্জন’। আমার মতে গত ৬০ বছরের ইতিহাসে ম্যালেরিয়া চিকিৎসার ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।

গ্লাসকো স্মিথক্লাইনের (জিএসকে) গবেষণা ও উন্নয়ন প্রেসিডেন্ট ড. হাল ব্যারন বলেন, ক্রিনটাফেল (টেফিনোকুইনের ব্র্যান্ড নাম) যা ৬০ বছরের মধ্যে প্রথম ‘প্লাসমোডিয়াম ভিভাক্স’ জীবাণুর ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক। এর অনুমোদন ম্যালেরিয়া সংক্রমণ নিরাময়ের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

৭০’র দশক থেকে টেফিনোকুইন রয়েছে কিন্তু এতোদিন ম্যালেরিয়ার অন্যান্য ওষুধের মধ্যে এটি ব্যবহার করা হতো। জিএসকে টেফনোকুইনকে যকৃতে সুপ্ত অবস্থায় থাকা ম্যালেরিয়া জীবাণু সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে নতুনভাবে ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হলো।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৮
এএইচ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।