ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ফের চালু রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মহিলা-শিশু ওয়ার্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৮
ফের চালু রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মহিলা-শিশু ওয়ার্ড ফের চালু হলো রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মহিলা ও শিশু ওয়ার্ড

রাঙামাটি: দীর্ঘ ১৯ মাস পর ফের চালু করা হয়েছে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মহিলা ও শিশু ওয়ার্ড।

সোমবার (২০ আগস্ট) সকালে ফিতা কেটে এ ওয়ার্ডের উদ্বোধন করেন রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা. শহীদ তালুকদার, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নিহার রঞ্জন নন্দী, শিশু বিষয়ক কনসালটেন্ট ডা. এম এ হাই’সহ সিনিয়র চিকিৎসকরা।

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৩ সালে চালু হয় রাঙামাটি জেলা সদরে একমাত্র সরকারি হাসপাতালটি। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে হাসপাতালটি। ২০০৫ সালে রাঙামাটি জেনারেল হাসাপাতালের দ্বিতল ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে রাঙামাটি পৌরসভা। তারপরও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চালু রাখা হয় চিকিৎসা সেবা। এরপর ২০১৬ সালে রাঙামাটি জেলা পরিষদের উদ্যোগে হাসপাতালটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার সত্বেও তৃতীয় তলায় অপরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কিন্তু আংশিক ভবন নির্মাণের পর হাসপাতালের বিভিন্ন ভিমে (পিলার) ফাটল দেখা দিলে খশে পড়ে ভবনের প্ল্যাস্টার। সে সময় হাসপাতালটির বিরাট একটি অংশ পরিত্যক্ত ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বন্ধ হয়ে যায় মহিলা ও শিশু ওয়ার্ড। তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করা হয় পুরুষ ওয়ার্ডে। এতে বৃদ্ধি পায় রোগী ও চিকিৎসকদের ভোগান্তি। দাবি ওঠে মহিলা ও শিশুদের নতুন ভবনের। কিন্তু সে বিষয়ে কার্যকর কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘ ১৯ মাস পর ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি সংস্কার করে পুনরায় চিকিংসা ব্যবস্থা চালু করে অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দেওয়া হয়েছে রোগীদের। এ ক্ষোভ দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যেও।

এ বিষয়ে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নিহার রঞ্জন নন্দী জানান, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ইঞ্জিনিয়ারিং অব টেকনোলজি’র  (বুয়েট)  বিশেষজ্ঞরা পরিক্ষা-নিরিক্ষা করে ভবনটিকে ঝুঁকিমুক্ত ঘোষণা করায়  হাসপাতালের মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডটি আবারও চালু করা সম্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘন্টা, আগস্ট ২০, ২০১৮
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।