ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মৃত ব্যক্তির অঙ্গ সংযোজন বাস্তবায়নের উদ্যোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮
মৃত ব্যক্তির অঙ্গ সংযোজন বাস্তবায়নের উদ্যোগ

ঢাকা: ‘অঙ্গ সংযোজন আইন ২০১৮’ অনুযায়ী ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) কোনো রোগী মারা গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করে সার্টিফিকেট দেবে ‘ব্রেইন ডেথ কমিটি’। এরপর নিকটাত্মীয়ের অনুমতি সাপেক্ষে সেই ব্যক্তির অর্গান অন্য কোনো রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করা যাবে। 

বাংলাদেশে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য মৃত ব্যক্তির দেহ থেকে অর্গান সংগ্রহ বা ক্যাডাভারিক ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন প্রক্রিয়া চালুর প্রাথমিক উদ্যোগ হিসেবে বিএসএমএমইউ, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও বারডেমের আইসিইউ চিকিৎসকরা এবার এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।  

রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিলন হলে সোসাইটি অব অরগান ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন বাংলাদেশের চতুর্থ বার্ষিক সম্মেলন ও বৈজ্ঞানিক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা জানান।

 

সেমিনারে বক্তারা বলেন, অঙ্গ ট্রান্সপ্ল্যান্ট কার্যক্রম চালুর যুগান্তকারী ও সমন্বিত উদ্যোগ নিচ্ছে সোসাইটি অব অর্গান ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন বাংলাদেশ। এতে সহযোগিতা দেবে এশিয়ান সোসাইটি অব ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন, মাল্টি অর্গান হার্ভেস্টিং এইড নেটওয়ার্ক ভারতের মোহান ফাউন্ডেশন এবং কোরিয়ার আনাম ইউনিভার্সিটি। এটা চালু হলে একজন মৃত ব্যক্তির কিডনি, লিভার, ফুসফুস, হার্ট, অগ্নাশয় প্রতিস্থাপন করে ভিন্ন ভিন্ন ৫ থেকে ৬ জন রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হবে।

কিডনি ফাউন্ডেশন ও সোসাইটি অব অর্গান ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।  

বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, মৃত মানুষের অঙ্গদানে কোনো বাধা নেই। আশা করা যায়, এ বিষয়ে এবার সফলতার মুখ দেখবে বাংলাদেশ।

কিডনি ফাউন্ডেশন ও সোসাইটি অব অর্গান ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদ বলেন, মৃত ব্যক্তির অঙ্গ অপর রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করা গেলে বেঁচে যাবেন দেশের হাজার হাজার মানুষ।  

বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮
এমএএম/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।