শনিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে সভা ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা সিভিল সার্জন মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা।

সরকারের এইডস/এসটিডি কর্মসূচি সূত্রে জানানো হয়- মুন্সিগঞ্জ জেলায় এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০৮ জন। জেলাকে এইডস ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে ইতোমধ্যে হাসপাতালে এইডস’র পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার আসিফ মাহবুব বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে জেলায় এইডস রোগীর সংখ্যা ২০৮। এ কারণে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে এইডস কাউন্সিলিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এখানে রোগী এলে তাদের পরামর্শ দেওয়া হবে। এছাড়া এইডস রোগী চিহ্নিত করতে এখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা হয়।  

জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, সারাদেশের মধ্যে ঢাকা জেলায় এইডস আক্রান্তের সংখ্যা ৯৪৭, ফরিদপুরে ৪২, গাজিপুরে ১৬৯, গোপালগঞ্জে ৩৩, কিশোরগঞ্জে ২৬, মাদারীপুরে ২০, মানিকগঞ্জে ৫৬, নারায়ণগঞ্জে ১৫২, নরসিংদীতে ৫৮, রাজবাড়ীতে ১৫, শরীয়তপুরে ৪০, টাঙ্গাইলে ৮৫ জন রয়েছে।  

ঢাকা বিভাগে এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৮৫১। এছাড়া বরিশাল বিভাগে ১৩৭, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬৭১, খুলনা বিভাগে ৫০৩, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৪, রাজশাহী বিভাগে ১৪৪, রংপুর বিভাগে ৫৩, সিলেট বিভাগে ১০৯২ জন এইডস আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। এছাড়া ৬৩ জন রয়েছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা।  

চিকিৎসকরা জানান, মুন্সিগঞ্জ জেলার বাসিন্দাদের একটি বড় অংশ বিদেশে অবস্থান করছেন। প্রায়ই তাদের দেশে আসা যাওয়া করতে হয়। এইডস আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে এ কারণকে প্রধানত দায়ী করা হয়। তবে প্রধান কারণ হিসেবে এটি চিহ্নিত হলেও অন্যান্য আরও অনেক কারণ রয়েছে। এইডস আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে অনীহা প্রকাশ করেন। সামাজিক সম্মান ও আত্মমর্যাদার কথা মাথায় রেখে অনেক ক্ষেত্রে তারা চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন না।

মুন্সীগঞ্জসহ দেশের ২৩ জেলাকে এইডস আক্রান্তের দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকি জেলাগুলো হলো- বরিশাল, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, সাতক্ষীরা, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর, সিলেট ও মৌলভীবাজার।  

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এইডস/এসটিডি কর্মসূচি আয়োজিত এক অ্যাডভোকেসি সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৮
আরএ