ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দেশের ৩ কোটি লোক মূত্রতন্ত্রের জটিলতায় আক্রান্ত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৯
দেশের ৩ কোটি লোক মূত্রতন্ত্রের জটিলতায় আক্রান্ত মূত্রতন্ত্রের রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক সভা

ঢাকা:  দেশে কমপক্ষে ৩ কোটি লোক কোনো না কোনোভাবে মূত্রতন্ত্রের জটিলতায় ভুগছেন। এর মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সীরা ৪০ শতাংশ প্রোস্টেট বা বড় আকারে সমস্যায় আক্রান্ত। এক্ষেত্রে নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে রেকারেন্ট ইউরিনারি ইনফেকশন।

সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর মিরপুর ৭ নম্বরে এভিন্স গার্মেন্টসে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইউরোলজিক্যাল সার্জন্স (বাউস) আয়োজিত মূত্রতন্ত্রের রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক এক সভায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এ কথা বলেন। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০১৯ উপলক্ষে সভার আয়োজন করে বাউস।

এছাড়া গার্মেন্টস কর্মীদের মধ্যে দিনব্যাপী মূত্রতন্ত্রের রোগের ফ্রি স্ক্রিনিং, চিকিৎসা ও পরামর্শ এবং বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মূত্রতন্ত্রের রোগ প্রতিরোধ সচেতনতা বৃদ্ধিতে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।  

বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেন যে, মূত্রতন্ত্র সংক্রান্ত রোগের মধ্যে প্রধান হচ্ছে  মূত্রতন্ত্রের পাথর। যা ১০ থেকে ১২ শতাংশ প্রোস্টেট ও কিডনি ক্যান্সার হওয়ার হার ৩-৫ শতাংশ। এটি দিনদিন বেড়েই চলেছে। দেশে বর্তমানে ইউরোলজিস্টের সংখ্যা মাত্র ২৭০ জন। তাও আবার সদ্য পাস করা ডাক্তারসহ দক্ষ এবং বিশেষজ্ঞ ইউরোলজিস্টের সংখ্যা মাত্র ১০০ জন।  

বাউসের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. কাজী রফিকুল আবেদীনের সভাপতিত্বে সভায় কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ কে এম জামানুল ইসলাম ভূঁইয়া মূল প্রবন্ধ উপস্থান করেন।  

এ সময় ডা. এ কে এম জামানুল ইসলাম মূত্রতন্ত্রের রোগ প্রতিরোধে প্রাথমিক পর্যায়ে এ রোগের চিকিৎসা, স্বাস্থ্যসম্মত খ্যাদ্যাভাস, পর্যাপ্ত পানি পান, প্রচুর সবজি খাওয়া, কম লবণ খাওয়া, পরিমিত মাংস খাওয়া, ধূমপান পরিহারসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেন।  

তিনি বলেন, মূত্রতন্ত্রের সব রোগের চিকিৎসা আজ দেশেই সম্ভব, এসব রোগ যথাসময়ে প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় ও চিকিৎসা করা গেলে জটিলতা ও প্রাণঘাতি অবস্থা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। দীর্ঘস্থায়ী কিডনি বিকলতার হাত থেকে ২০ ভাগ রোগী রক্ষা পেতে পারেন এবং প্রায় সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারেন, শুধুমাত্র সচেতন হয়ে সুস্থ লাইফ স্টাইল মেনে চলার মধ্য দিয়ে।  

অধ্যাপক ডা. কাজী রফিকুল আবেদীন তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশে হাসপাতালে বহির্বিভাগে শল্য বিভাগে আক্রান্ত রোগীর শতকরা ৪০ ভাগ ইউরোলজিক্যাল সমস্যায় আক্রান্ত। এসব রোগ শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের নারী-পুরুষেরই হয়ে থাকে। এসময় তিনি ক্রমর্বধমান মূত্রতন্ত্রের রোগীর চাপ, এ রোগের জটিলতা এবং চিকিৎসা ব্যায়ের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের প্রত্যেকটি মেডিকেল কলেজে দক্ষ জনবল, প্রয়োজনীয় আধুনিক যন্ত্রপাতি সহ পূর্ণাঙ্গ ইউরোলজি ইউনিট চালু করার দাবি জানান। আর এর মাধ্যমেই একমাত্র মানুষকে প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৯
এমএএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।