ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

চিকিৎসাসেবায় দায়িত্বশীলতা-নৈতিকতা চর্চা জরুরি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৯
চিকিৎসাসেবায় দায়িত্বশীলতা-নৈতিকতা চর্চা জরুরি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, ছবি: ফাইল ফটো

ঢাকা: চিকিৎসা পেশায় দায়িত্বশীলতা ও নৈতিকতার চর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে যাতে রোগীরা এসে সেবা পান, সেদিকে আরও নজর দিতে হবে। কর্মস্থলে যাতে সব চিকিৎসক উপস্থিত থাকেন, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

সেবা খাতকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে নিতে সঠিক ব্যবস্থাপনা ও উন্নত নেতৃত্বও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এ ব্লকের অডিটোরিয়ামে ‘চিকিৎসা সেবায় নৈতিকতা’ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ-২০১৯ (১৬-২০ এপ্রিল) উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আলোচনা সভাটির আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহিদ মালেক বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপের কারণে দেশের স্বাস্থ্যখাত অনেক দূর এগিয়ে গেছে। মেডিকেল কলেজসহ স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের আটটি বিভাগে একটি করে কিডনি এবং একটি করে ক্যান্সার হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা পাঁচ হাজারে উন্নীত করা হবে।

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসক সমাজের আরও উজ্জ্বল ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে রোগীদের আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা দিতে এবং সংশ্লিষ্ট সকলকেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, মন্ত্রণালয়ের সচিব (স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ) জিএম সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের  মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় এ ধরনের আলোচনা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ। এ জাতীয় আলোচনা-কর্মশালা আরও আয়োজন করা হবে। রোগীদের যথাযথ সময় দিতে হবে। ভালোভাবে কাউন্সিলিং করে বোঝাতে হবে। চিকিৎসকের প্রতি রোগীদের যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস যাতে গড়ে উঠে, সেজন্য চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় দৃষ্টি দিতে হবে।

এ সময় অন্যান্য বক্তারা বলেন, ‘চিকিৎসা সেবায় নৈতিকতা’ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নৈতিকতা সমাজের সর্বস্তরেই অবশ্যই পালনীয় ও করণীয়। রোগীদের কষ্টকে ধারণ করে এবং রোগীদের ব্যাথাকে অনুভব করে সেবা দিতে হবে। রোগীর নিরঙ্কুশ অটোনোমিকে যথাযথ মূল্য দিতে হবে। শুধু চিকিৎসকদের নৈতিকতা নয়, সেবাখাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলেরই নৈতিকতা নিশ্চিত করা জরুরি। একইসঙ্গে চিকিৎসা সেবার সঙ্গে জড়িত সকলেরই নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটাও অপরিহার্য।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৯
এমএএম/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।