ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ঈদের ‘আমেজ’ নেই হাসপাতালে

মাসুদ আজীম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০১৯
ঈদের ‘আমেজ’ নেই হাসপাতালে বহির্বিভাগে রোগী দেখাতে হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারে স্বজনদের ভিড়

ঢাকা: ঈদের ছুটি শেষে কর্মব্যস্ত হতে শুরু করেছে রাজধানী। তবে এ ছুটিতেও ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। অনেকে আবার জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকায় সেবাকার্যে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে ঈদের দিনও। এর মধ্যে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত জাতীয় অর্থোপেডিক ও পুর্নবাসন হাসপাতালে (নিটোর) ছিল স্বাভাবিক সময়ের মতোই চাপ।

নিটোর সূত্রে জানা যায়, ঈদের ছুটিতে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০০ জনের বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। জরুরি বিভাগ অন্যান্য সময়ের মতো ব্যস্ত ছিল।

কেননা ঈদে মানুষ বাড়ি যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনা বেশি ঘটে।

নিটোরে কর্মরত মেডিকেল অফিসার ডা. শরীফুল ইসলাম জানান, এ হাসপাতালে ঈদেও চাপ থাকে। আমরাও প্রস্তুত থাকি। ঈদের ছুটিতে মানুষের বাড়ি যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটেই থাকে, তাই হাড়ভাঙার ঘটনাও ঘটে। তবে অন্যান্যবারের তুলনায় এবারের ঈদে রোগীর সংখ্যা কিছুটা কম ছিল। আর আজ বহির্বিভাগ খোলায় রোগীর চাপ বেড়েছে। যেন ছুটি শেষ হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন রোগীরা।

ঈদের দিন শামীম নামের এক রোগী নিটোরে ভর্তি রয়েছেন মোটরসাইকেলে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে। তার মা সাজু বেগম বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বুধবার (০৫ জুন)। তবে অস্ত্রোপচারের জন্য আগামী মঙ্গলবার (১১ জুন) তারিখ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। গত ১৫ দিন আগে বাইক কিনেই এ অবস্থা। এখানে চিকিৎসা ভালো হচ্ছে বলেও জানান এ অভিভাবক।  

এদিকে শনিবার (০৮ জুন) শিশু রোগীদের ভিড় বেড়েছে ঢাকা শিশু হাসপাতালে। হাসপাতালটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাকিম বলেন, প্রথম দিনেই বেশ চাপ বেড়েছে হাসপাতালে। অনেক রোগী আসছে। ঈদের পর এসে হাসপাতালের সহকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের সুযোগ পাননি চিকিৎসক ও নার্সরা। তবে কর্মকর্তা কর্মচারীদের সবাই এখনো আসেননি। অনেকের ছুটিও শেষ হয়নি।

একই অবস্থা ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেরও। সরেজমিন দেখা যায়, হাসপাতালটিতে ঢুকতেই টিকিট কাউন্টারে রোগীদের ভিড়। সেখানে রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল ৭টা থেকে অনেকে অপেক্ষা করছেন। যেন দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে পথ্য পেয়ে সেরে উঠতে পারেন।

হাসপাতালটির মেডিকেল অফিসার ডা. নাহার বেগম জানান, ঈদে জরুরি বিভাগে তেমন চাপ ছিল না। আজ অনেক বেশি হয়েছে বহির্বিভাগ খোলার কারণে। আর আমরা যারা মেডিকেল অফিসার আমাদের ছুটি শব্দটার সঙ্গে একটু কমই পরিচিতি থাকে রোগীদের চাপের কারণে। তাই ঈদের দিন আমাদের কিছুটা আনন্দ অনুভব হলেও এরপরের দিন থেকে আর কোনো আমেজ থাকে না।  

এদিকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) রোগীদের তেমন চাপ পরিলক্ষিত হয়নি। ঢিলেঢালাভাবে চলছে সেখানকার কর্মকাণ্ড। হাসপাতালের স্টাফদেরকেও ঈদের কুশল বিনিময় করতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. একে মাহবুবুল হক বাংলানিউজকে জানান, আজকে তেমন চাপ না থাকলেও আগামীকাল থেকে হয়তো রোগীদের চাপ বাড়বে। এ হাসপাতালে জরুরি বিভাগ না থাকায় অনেকে মনে করে শনিবারও হয়তো বন্ধ থাকে। তাই এদিন ভিড় কমই হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৯
এমএএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।