ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

আন্দোলনের তোপে বিএসএমএমইউ'র নিয়োগ সাময়িক স্থগিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৯
আন্দোলনের তোপে বিএসএমএমইউ'র নিয়োগ সাময়িক স্থগিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে

ঢাকা: রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মেডিকেল অফিসার নিয়োগ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। চাকরিপ্রত্যাশীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ সিদ্ধান্তে উপনীত হতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানা যায়। তবে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলমান। 

মঙ্গলবার (১১ জুন) নিয়োগ স্থগিত হওয়ার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন বিএসএমএমইউ'র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।  

উপাচার্য বলেন, সাময়িকভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে।

বাকি সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেট কমিটির সভায় চূড়ান্ত হবে। তবে আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে।  

এদিকে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেল অফিসার ও ডেন্টাল সার্জন পদে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে ২০ জনের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আতঙ্কের মধ্যে এ পরীক্ষা দিয়েছেন উত্তীর্ণরা। গতকাল থেকেই অনশন ও তীব্র আন্দোলনে নামেন চাকরিপ্রত্যাশী চিকিৎসকরা। তখন পুলিশ তাদেরক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়।  

এর আগের দিন উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে ১৫ জন আন্দোলনকারী চিকিৎসক পুলিশ ও আনসারের বাধাগ্রস্ত এবং লাঠিপেটায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা নেন। সেই থেকে অনশনে বসেছিল প্রায় ৫০ জন নিয়োগবঞ্চিত চিকিৎসক।  

মঙ্গলবার পুনরায় মৌখিক পরীক্ষা শুরু হলে সকাল থেকে ক্যাম্পাসে জমায়েত হতে থাকে আন্দোলনকারীরা। এসময় তাদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে গেলে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়। এদময় তাদের জয় বাংলা ও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে দেখা যায়। পরে দুপুরে নিয়োগ স্থগিতে ঘোষণা দেন উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া৷ 

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাকরিপ্রত্যাশী একাধিক আন্দোলনকারী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা যুক্তিসঙ্গত ও ন্যায় দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি। আমাদের জয় হবেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কর্তৃপক্ষ দুর্নীতি করে আমাদের নিয়োগবঞ্চিত করেছে। নিয়োগে অসংখ্য দুর্নীতি করেছে যা আমরা অনেক দিন ধরেই বলছি। তা গ্রাহ্য না করে বা আমাদের যৌক্তিক দাবি উপেক্ষা করে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান ছিল।  

এখন নিয়োগ বাতিল হয়েছে। আমরা পুনরায় পরীক্ষা চাই ও এই উপাচার্যের পদত্যাগ চাই দ্রুত। এসব দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৯
এমএমএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।