ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

শনিবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল পাবে ২ কোটি ২০ লাখ শিশু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৯
শনিবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল পাবে ২ কোটি ২০ লাখ শিশু সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক

ঢাকা: জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে শনিবার (২২ জুন) সারাদেশে দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।
 
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান শনিবার ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী দুই কোটি ২০ লাখ ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।


 
ক্যাম্পেইনের দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকাদান কেন্দ্র খোলা থাকবে।
 
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শিশুদের ভরা পেটে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো ভালো। কাঁচি দিয়ে ভিটামিন-এ ক্যাপসুলের মুখ কেটে ভেতরে থাকা তরল ওষুধ চেপে খাওয়ানো হবে। জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় বা ইতোমধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে এমন শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
 
ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে জন্মের পরপর (১ ঘণ্টার মধ্যে) শিশুকে শালদুধ খাওয়ানোসহ প্রথম ৬ মাস শিশুকে শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানো এবং শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি পরিমাণ মতো সুষম খাবার খাওয়ানোর বিষয়ে প্রচারাভিযান চালানো হবে।
 
দেশব্যাপী এক লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্রসহ অতিরিক্ত ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে ক্যাম্পেইনের কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে জানান জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলো বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, ব্রিজের টোল প্লাজা, বিমানবন্দর, রেল স্টেশন, খেয়াঘাটে অবস্থান করবে।
 
দুর্গম এলাকায় ক্যাম্পেইন সফল করার জন্য পরবর্তী চারদিন বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
 
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে এই কার্যক্রম গ্রহণ করেন জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, তখন ৬-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে রাতকানা রোগের হার ছিল ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখার ফলে বর্তমানে রাতকানা রোগের হার শতকরা ১ শতাংশের নিচে রয়েছে। আগামীতে এই হার আমরা শূন্যে নামিয়ে আনতে পারবো।
 
জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন চলাকালে যাতে কোনো কুচক্রী মহল নেতিবাচক প্রচার মাধ্যমে এই কার্যক্রম ব্যাহত করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
 
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এবার ভিটামিন-এ ক্যাপসুলের মানের বিষয়ে কোনো কমপ্লেইন পাবেন না। একাধিকবার ল্যাব টেস্ট করা হয়েছে। আশা করি কোনো সমস্যা হবে না।
 
ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন পর্যবেক্ষণ বা মনিটরিং করার জন্য ক্যাম্পেইনের দিন প্রতিটি উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোলরুম খোলা থাকবে বলে জানান মন্ত্রী।
 
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।