ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বিএসএমএমইউয়ের ৫২৮ কোটি টাকার বাজেট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫১ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৯
বিএসএমএমইউয়ের ৫২৮ কোটি টাকার বাজেট সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৫২৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)।

যা গত অর্থ বছরে (২০১৮-১৯) এ বাজেটের পরিমাণ ছিল ৪২৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগামী অর্থবছরে ২৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ বাজেট বেড়েছে।

শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে বিএসএমএমইউয়ের ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ বাজেট ঘোষণা করেন প্রতিষ্ঠানটির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।

এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৪তম সিন্ডিকেট সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নতুন অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আতিকুর বলেন, ৫২৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ২১০ কোটি টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশন থেকে ১২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা অনুদান পাওয়া গেছে। এছাড়া, নিজস্ব আয় থেকে ব্যয় নির্বাহের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৪০ কোটি টাকা। ফলে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে সামগ্রিক ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ১৫৫ কোটি ২ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ২৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

তবে এ ঘাটতি কাটিয়ে উঠার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বোত্তম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।

এ সময় তিনি বিভিন্ন খাত ভিত্তিক আলাদা আলাদা প্রস্তাবিত বাজেটের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

বিএসএমএমইউয়ের বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমানে ইমার্জেন্সি বিভাগ স্বল্প পরিসরে শুরু হলেও তা বর্ধিতকরণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বর্তমানে সীমিত পরিসরে লিভার ট্র্যান্সপ্ল্যান্ট শুরু হয়েছে, শিগগিরই বোন মেরু ট্র্যান্সপ্ল্যান্ট কার্যক্রম শুরু হবে।

দীর্ঘদিন ধরেই বিএসএমএমইউয়ের ইমার্জেন্সি বিভাগ চালুর কথা বলা হলেও এখনো শুরু হয়নি, কবে নাগাদ চালু হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ইমার্জেন্সি বিভাগ চালুর জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু সরকার যে ১০ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছিল, সে সময় একইসঙ্গে আমাদের ৪১২ জন নার্স চলে যান। নার্স সংকটে কার্যক্রমটি তখন বন্ধ হয়ে যায়।

রোববার (৩০ জুন) এর মধ্যে আমাদের এখানে আবারো ৩৪৭ জন নার্সকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আগামী এক মাসের মধ্যেই এ বিষয়ে সুখবর দেওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বাজেটের ঘাটতি পূরণে করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা প্রস্তাবিত বাজেট। এ বিষয়ে আমরা স্বাস্থ্য, অর্থ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করবো। এছাড়া, নিজস্ব আয় বাড়িয়ে ঘাটতি পূরণের চেষ্টা থাকবে।

বৈকালিক সেবায় টিকিট কাটায় ভোগান্তি রয়েছে, এটি অনলাইনে আনা যায় কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সবকিছুই অনলাইনে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

কবে নাগাদ বোন মেরু ট্র্যান্সপ্ল্যান্ট শুরু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে অর্থ ছাড়ের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া, কারিগরি এবং লোকবল আমাদের প্রস্তুত রয়েছে। অর্থ ছাড় হলেই প্রক্রিয়াটি চালু করতে পারবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৯
এজেডএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।