ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

শেবাচিমে ডেঙ্গুর সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা ফ্রি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১১ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৯
শেবাচিমে ডেঙ্গুর সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা ফ্রি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীরা, ছবি: বাংলানিউজ

ব‌রিশাল: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ডেঙ্গুজ্বরের সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ফ্রি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ ‍জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে হাসপাতালে ডেঙ্গুজ্বরের সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ফ্রি করা হয়েছে মঙ্গলবার থেকে।

পাশাপাশি আসন্ন ঈদকে ঘিরে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে আমিসহ সংশ্লিষ্ট সব চিকিৎসক, সেবক-সেবিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হবে। এক কথায় ঈদের ছুটিতে রোগীদের চিকিৎসা শতভাগ নিশ্চিত করতে আগাম প্রস্তুতি আমরা শুরু করে দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তদের ইতোমধ্যে হাসপাতালে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা যথা নিয়মে করা হচ্ছে। রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়াতে কোনো গাফিলতির বিষয় নেই এখানে। তবে আমার অনুরোধ থাকবে জ্বর বা ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই যেন রোগীরা সরকারি হাসপাতাল এবং চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। জায়গার সংকট থাকলেও সরকারি হাসপাতালেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসদের মাধ্যমে সরাসরি চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।

তিনি বলেন, জরুরি চিকিৎসাসেবা হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলের সর্বোবৃহত এ হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী রয়েছে। সাধারণ স্যালাইনও যথেষ্ট রয়েছে, তবে সঙ্কট দেখা দেওয়ার আশঙ্কায় আজই আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও স্যালাইন আমাদের হাসপাতালে দ্রুত সময়ের মধ্যে দেওয়ার জন্য বলেছি। যেসব ওয়ার্ডে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, সেসব ওয়ার্ডে আজ থেকে বাফার স্টোক রিজার্ভ রাখতে বলা হয়েছে। ওষুধসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের সামগ্রী ওয়ারর্ডগুলোতে রিজার্ভ রাখা হবে। এতে করে নতুন কোনো রোগী এলে তাৎক্ষণিক তাকে ওষুধসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু দেওয়া সম্ভব হবে।

তবে বার বার বলবো, ডেঙ্গুজ্বর দেখা দিলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। চিকিৎসায় এটি ভালো হয়। যে দু’জন মঙ্গলবার শেবাচিম হাসপাতালে মারা গেছেন, তারা ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দেওয়ার পরও অনেক দেরি করে হাসপাতালে এসেছেন। আর তাদের ডেঙ্গুর বিষয়টি ঢাকায় বসে শনাক্ত হওয়ার পরও তারা বাড়িতে চলে এসেছিলেন।

এদিকে হাসপাতাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত শেবাচিম হাসপাতালে ২৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন। এর মধ্যে ৯জন নারী ও ১৬ জন পুরুষ। আর এ পর্যন্ত শেবাচিম হাসপাতালে মোট ৬৪ জন রোগী ভর্তি হয় এবং ৩৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এবং ২জনের মৃত্যু হয়।

অপরদিকে আসন্ন ঈদে রাজধানী ছেড়ে মানুষের গ্রামের ফেরার পর থেকে ডেঙ্গুজ্বরের রোগীর চাপ বাড়তে পাড়ে বলে আশঙ্কা করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৯
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।