ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ডেঙ্গুজ্বরে বরিশালে ২৪০ জন সরকারি হাসপাতালের দ্বারস্থ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০১৯
ডেঙ্গুজ্বরে বরিশালে ২৪০ জন সরকারি হাসপাতালের দ্বারস্থ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীরা, ছবি: বাংলানিউজ

ব‌রিশাল: বরিশালজুড়ে প্রতিনিয়ত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। এরইমধ্যে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ জন মৃত্যু হয়েছে। আর এ কারণে স্বাস্থ্যবিভাগ নড়েচড়ে বসেছে। জেলা ও স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকেও সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তবে চিকিৎসক সংকটের কারণে উপজেলা পর্যায়ে রোগীদের সেবা দিতে বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে তাদের।

যদিও স্বাস্থ্যবিভাগ বলছে, যে জনবল রয়েছে তা দিয়ে সঠিকভাবে গোটা বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। পাশাপাশি রোগ নির্ণয়ে সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ রোগীদের ওষুধ ও সব ধরনের সেবাও দেওয়া হচ্ছে।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বাংলানিউজকে জানান, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালসহ ৬ জেলায় এখন পর্যন্ত ২৪০ জন ডেঙ্গু রোগী সরকারি হাসপাতালগুলোর দ্বারস্থ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্যে শেবাচিম হাসপাতাল ছাড়া বরিশাল শহরে ৯ জন, পটুয়াখালীতে ৩১ জন, ভোলায় ১৬ জন, পিরোজপুরে ১০ জন, বরগুনায় ৩০ জন ও ঝালকাঠিতে ৬ জন ডেঙ্গু রোগী রয়েছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৩৪ জন ও মৃত্যু হয়েছে একজনের।

এদিকে শেবাচিম হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তিরত ৩৩ জনসহ হাসপাতালে বর্তমানে ৭৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন। ফলে এ হাসপাতালে এ পর্যন্ত মোট ভ‌র্তি ১৩৪ জন রোগী। হাসপাতাল ছেড়েছে ৫৩ জন এবং মৃত্যু হয় দু'জনের।

সহকারী পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল আরও জানান, শুরুতে ঢাকা থেকে বরিশালে এসেই যেহেতু অনেকের ডেঙ্গুজ্বর শনাক্ত হয়েছে, তাই আমরা মনে করছি, বরিশালেও ডেঙ্গুর জীবাণু থাকতে পারে। আমরা কোরবানিকে ঘিরে বরিশালে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। এরমধ্যে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে স্বাস্থ্যবিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছি। মন্ত্রণালয়ের পরবর্তী সিদ্ধান্ত ছাড়া কাউকে ছুটি দেওয়া হচ্ছে না। জেলা পর্যায়ে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। এ পর্যন্ত বরিশালে ৩ জনের মৃত্যুর খবর আমাদের কাছে রয়েছে। চিকিৎসা নিয়ে অনেকেই ভালো হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। আতঙ্কের কিছু নেই।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিভাগের পক্ষ থেকে মাইকিং-পোস্টারিং ছাড়াও বিভিন্ন পন্থা মাঠকর্মীদের সহয়তায় জনসাধারণকে সচেতন করা হচ্ছে। আমাদের বিভাগে চিকিৎসক সংকটের হিসাবটা বেশি হলেও যারা রয়েছেন তারা সবাই সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন করছেন।

বাংলা‌দেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৯
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।