ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ভোলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৮৪, চিকিৎসাধীন ৪৫

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৯
ভোলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৮৪, চিকিৎসাধীন ৪৫ ডেঙ্গু মশার সংগৃহীত ছবি

ভোলা: ভোলায় বেড়েই চলছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছে আরো ১৭ জন। এনিয়ে ২১ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৪ জনে।

তবে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৪৫ জন। অন্যদিকে ২৩৯ জন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেলেও ঢাকায় রেফার করা হয়েছে ৭ জনকে।

১ আগস্ট থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত জেলায় মোট ২৮৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

ভোলার চার উপজেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সদর হাসাপাতালে ২৮ জন, তজুমদ্দিনে ২ জন, দৌলতখানে ২ জন ও চরফ্যাশনে ১৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ১০ জন স্থানীয় রোগী হলেও বাকিরা ঢাকা থেকে আসা বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ্রনাথ মজুমদার।

তিনি জানান, রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সদর হাসপাতালসহ সব হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ অ্যান্টিজেন্ট কিটস সরবরাহ করা হয়েছে। এখন থেকে সব হাসপাতাল থেকেই ডেঙ্গু শনাক্ত করার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালু রয়েছে।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। সুস্থ হয়ে রোগীরা ফিরে যাচ্ছেন।

এদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ভোলা পৌরসভাসহ বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর এলাকায় মশধ নিধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলছে। তবুও ডেঙ্গু আতংকে রয়েছেন মানুষ।

দিনদিন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চিন্তিত সাধারণ মানুষ। জ্বরে আক্রান্ত হলেই রোগীরা ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গুর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ছুটে আসছেন। এসব প্রতিষ্ঠানে রোগীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

শহরের ওয়েস্টার্নপাড়া এলাকার বাসিন্দা মাহাবুবুর রহমান জানান, ছোট ছেলেটার দুইদিন ধরে জ্বর, এতে চিন্তিত হয়ে পড়েছি, তাই দুপুরে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেছি।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে জেলার সাত উপজেলার ছয় শতাধিক স্বাস্থ্যকর্মী মাঠে কাজ করছে। সচেতনতামূলক সভা, স্বাস্থ্যশিক্ষা প্রশিক্ষণ, পরিচ্ছন্নতা অভিযানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।

ভোলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক (মেডিকেল অফিসার) ডা. ফারজানা খান জানান, এ হাসপাতালে ২৫ ঘণ্টায় ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে, এখন পর্যন্ত চিকিৎসাধীন আছেন ২৫ জন। সবাইকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
 
এদিনে জেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছন্ন দ্বীপ মনপুরা উপজেলায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি অনেক ভালো বলে বলে জানা গেছে।

মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মামুনুর রশিদ জানান, এখানে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, ঈদের আগে পাঁচ জন রোগী থাকলেও এখন কোনো রোগী নেই। যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ০১৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৯
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।