ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

হাসপাতালের ওয়ার্ডে মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সরবরাহ নয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
হাসপাতালের ওয়ার্ডে মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সরবরাহ নয় ওষুধ দেখা হচ্ছে

বরিশাল: সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতের লক্ষ্যে হাসপাতালের কোনো ওয়ার্ডে চাহিদার অতিরিক্ত মালামাল সরবরাহ করা যাবে না।

পাশাপাশি এখন থেকে রোগীদের প্রতিদিনের চাহিদা অনুযায়ী ওষুধসহ চিকিৎসা সামগ্রী প্রতিদিনই সরবরাহ করতে হবে, তবে গুরুত্ববুঝে সর্বোচ্চ সাত দিনের ওষুধসহ চিকিৎসা সামগ্রী ওয়ার্ডে মজুদ করার সুযোগ দেয়াও হবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের স্টোরে আকস্মিক পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পরিচালক।

তিনি বলেন, হাসপাতালে এর আগে ওষুধ মজুদ রেখে একটি ঘটনার সৃষ্টি করা হয়েছিলো। যদিও সেই সময়ে পরিচালক হিসেবে আমি ছিলাম না। তবে যেহেতু এই মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র হয়ে আবার এখানেই হাসপাতালের পরিচালক হয়ে এসেছি, তাই আমি কোনো বদনাম চাইবো না। আর আগের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে লক্ষ্যে আমরা সচেষ্ট রয়েছি।  

পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডের স্টোরে রুটিন মাফিক এ পরিদর্শন করা হয়। তবে গত তিনমাসে বিভিন্ন কারণে এ কাজটি করা সম্ভব না হলেও আমরা এখন শুরু করেছি।  ওয়ার্ডের স্টোরগুলো পরিদর্শন করে সরকারিভাবে সরবরাহকৃত মাত্রাতিরিক্ত ওষুধসহ চিকিৎসা সামগ্রী পাওয়া গেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে কোনো অবহেলা পাওয়া গেলে নিয়মানুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি জানান, আজ মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের স্টোর রুমে থাকা মালামালের হিসেব আমরা নিয়েছি। এখানে সিরিঞ্জ ও ক্যানুলা যা পাওয়া গেছে, তা অতিরিক্ত বলেই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ওয়ার্ডের ইনচার্জ জানিয়েছেন এখানে মাসিক হারে স্টোর থেকে মালামাল সরবরাহ করা হয়, কিন্তু এটা খুবই বাজে প্র্যাকটিস। একমাসের বিপুল সংখ্যক সামগ্রী তারা রাখবেও বা কোথায়, তাই এখন থেকে প্রতিদিনেরটি প্রতিদিন, নয়তো সর্বোচ্চ একসপ্তাহের মালামাল স্টোর থেকে সরবরাহ করতে হবে ইনচার্জদের।

ওয়ার্ড থেকে এখন আমরা যে মালামালের হিসেব পেয়েছি তা ইন্ডেন ও স্টোরের রেজিস্টার মিলিয়ে দেখবো সঠিক রয়েছে কিনা। সঠিক না থাকলে দায়িত্বরতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

এদিকে ওয়ার্ডের ইনচার্জ হোসনেয়ারা খানম জানিয়েছেন, একেক সময় একেকটা জিনিস কম আবার বেশি প্রয়োজন হয়। তাই কিছু মালামাল বেশি থাকায় চলতি মাসের ইন্ডেনে তার চাহিদা কমিয়ে সরবরাহ করা হয়েছে। আর মাসিক হারে সংগ্রহ করার কারণে ওয়ার্ডের ৪টি ইউনিটের রোগীদের জন্য অনেক মালামাল সরবরাহ করতে হয়। তবে হিসেব অনুযায়ী সবকিছু সঠিক পাওয়া যাবে বলেই দাবি তার।

অভিযানে হাসপাতাল পরিচালকের সঙ্গে উপ-পরিচালক, চিকিৎসক ও নার্সিং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলা‌দেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
এমএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।