ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

‘সেফলি ম্যানেজড স্যানিটেশনে কিছুটা পিছিয়ে আছি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১৯
‘সেফলি ম্যানেজড স্যানিটেশনে কিছুটা পিছিয়ে আছি’

ঢাকা: পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগের হার প্রায় শূন্যে নেমে আসলেও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি)-২০৩০ সূচকে সেফলি ম্যানেজড স্যানিটেশনে আমরা কিছুটা পিছিয়ে আছি।

তিনি বলেন, দেশের সব জনগোষ্ঠীকে সেফলি ম্যানেজড স্যানিটেশনের আওতায় আনতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ও উদ্যোক্তাসহ সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে ‘জাতীয় স্যানিটেশন মাস অক্টোবর-২০১৯’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এবারের অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘সবার জন্য উন্নত স্যানিটেশন, নিশ্চিত হোক সুস্থ জীবন’।

তাজুল ইসলাম বলেন, স্যানিটেশন উন্নয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। শুধু অক্টোবর মাসেই নয়, সারা বছরব্যাপী ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে দেশের জনগণের মধ্যে স্যানিটেশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। সবার সর্বাত্মক সহযোগিতাই স্বাস্থ্যসম্মত ও উন্নত স্যানিটেশনের এ সামাজিক আন্দোলনকে কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের দিকে এগিয়ে নেবে।  

একই সঙ্গে স্যানিটেশন সংক্রান্ত বিষয়াবলি পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারেও গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, দেশের প্রধানতম উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ হলো পানি ও স্যানিটেশন সংক্রান্ত রোগ সংক্রমণের হার কমিয়ে এনে স্বাস্থ্যসম্মত পানি ও স্যানিটেশন সুবিধাদির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা। এজন্য দেশের জনগণকে এ সংক্রান্ত বিষয়ে সঠিকভাবে অবহিত করতে হবে।

‘এক্ষেত্রে ‘জাতীয় স্যানিটেশন মাস’ উদযাপন বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছি। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী জনগণই পারে দেশের উন্নয়নে শরিক হতে। তাই আমাদের সবার উচিৎ ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরিচর্যা করা এবং অন্যকেও সেটি করতে উৎসাহিত করা। ’

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য। এছাড়াও বক্তব্য দেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জহিরুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) শিক্ষা শাখার প্রধান নর শিরীন মোক্তার।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৯
জিসিজি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।