ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

পঞ্চগড়ে ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্য ক্লিনিকের জনপ্রিয়তা বাড়ছে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
পঞ্চগড়ে ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্য ক্লিনিকের জনপ্রিয়তা বাড়ছে ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিক পরিদর্শনকালে বক্তব্য দিচ্ছেন স্বাস্থ্য সচিব শেখ ইউসুফ হারুন। ছবি: বাংলানিউজ

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্যসেবায় জেলা প্রশাসনের ‘ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্য ক্লিনিক’ একটি রোল মডেল বলে উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন।

শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধায় সুবিধাবঞ্চিত পাথর শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিক পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বছরখানেক আগে জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন এ ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্য ক্লিনিক নামে ব্যতিক্রম কার্যক্রম চালু করেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিকের মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন এলাকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি, পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী অনগ্রসর জনগোষ্ঠির মধ্যে সপ্তাহে এক দিন করে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সুবিধাভোগীসহ স্বাস্থ্য সচিব শেখ ইউসুফ হারুন।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন তৃণমূল পর্যায়ে অনগ্রসর জনগোষ্ঠির মধ্যে যেখানে কমিউনিটি ক্লিনিক নেই এসব এলাকায় এ ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্য ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। বছরজুড়ে সদর উপজেলার বিলুপ্ত গাড়াতি ছিটমহল, বোদা উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল এলাকা ও আদিবাসী এলাকা, আটোয়ারী উপজেলার আদিবাসী এলাকা, দেবীগঞ্জ উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল এলাকা ও তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর এবং বাংলাবান্ধা এলাকায় প্রতি সপ্তাহে বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়।  

বিশেষ করে তেঁতুলিয়া উপজেলার চা শ্রমিক ও পাথর শ্রমিকরা ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিকের সেবায় তারা নতুন করে আশার আলো দেখেছেন।  

ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিকের গাড়িতে একজন মেডিক্যাল অফিসার ও জেলা প্রশাসকের একজন প্রতিনিধিসহ স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা থাকেন। নির্ধারিত দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রোগীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ব্যবস্থাপত্র দেওয়াসহ বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হয়।

ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্য ক্লিনিকের কার্যক্রম পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, সিভিল সার্জন মো. নিজাম উদ্দীন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোজাফফর হোসেন, তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু, পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা শবনম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।