ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

আইন করে ই-সিগারেট বন্ধের আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
আইন করে ই-সিগারেট বন্ধের আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ অন্যরা

ঢাকা: ক্ষতিকর দিক বিবেচনায় আইন করে ই-সিগারেট বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এক্ষেত্রে তিনি ভূমিকা রাখবেন বলেও জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ই-সিগারেট বন্ধের কাজটি তথ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট না হলেও আমি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করবো। সম্প্রতি ভারত ই-সিগারেট বন্ধ করেছে।

আমাদেরও দ্রুত করা উচিত। এজন্য আইন প্রণয়ন করে বন্ধ করতে পারলে সবচেয়ে ভালো হবে।  

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। হার্ট ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট ও বাংলাদেশ: বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের করনীয়’ শীর্ষক বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।  

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে ধূমপায়ীর হার ৪১ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশে নেমে এসেছে। আমাদের এ সংক্রান্ত আইন আছে। আইনটি সম্পূর্ণভাবে মানা না হলেও যতটুকু মানা হচ্ছে তাতেই এ হার কমেছে। মানুষ এখন আর খোলা জায়গায় ধূমপান করে না। এ কারণে কোম্পানিগুলো ই-সিগারেটের ব্যবসায় ঝুঁকেছে। এটির ক্ষতিকর দিক বিবেচনা করলে একে এখনই বন্ধ করা উচিত। নইলে মারাত্মক ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হবে।

বাংলা সিনেমায় এখন ‘ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’ লিখলে হয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিনেমায় ধূমপান করা হলে ওই দৃশ্যের নিচে লেখা থাকতে হবে  ‘ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ও মৃত্যুর কারণ’। তা না হলে সেন্সর বোর্ডে তা আটকে দেওয়া হয়। এ কারণেও জনগণ অনেক সচেতন হচ্ছে। আর নাটকের বিষয়গুলোও নজরে আনা হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, পৃথিবীর মধ্যে আমাদের দেশই সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ। তবুও আমরা সফলতা দেখছি। যখন চার কোটি লোক ছিল তখন খাদ্য ঘাটতি ছিল। এখন ১৬ কোটি হওয়ার পরও সেই ঘাটতি নেই। আমরা এখন অনেক পণ্য রপ্তানিকারক একটি দেশ। দেশ উন্নত করার পাশাপাশি আমাদেরকে উন্নত জাতি গঠন করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যবান জাতি গঠন করতে হবে। এজন্য এধরনের সব ইস্যুতে আমাদের নজরদারি বাড়িয়ে উন্নয়নের পথে অগ্রসর হতে হবে।  

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব) আব্দুল মালিকের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম, মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী, অ্যান্টি টোব্যাকো প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম অফিসার ডা. আহমেদ খাইরুল আবরারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আসা প্রতিনিধিরা।  

এসময় বক্তারা তরুণ সমাজ রক্ষার্থে ই-সিগারেট বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৯
এমএএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।