গত মে মাসে প্লেগে আক্রান্ত হয়ে একই এলাকায় আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছিল। রোগটি মারাত্মক ছোঁয়াচে হওয়ায় এটি ফের ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে প্লেগকে ‘ফের উদীয়মান’ রোগ হিসেবে আখ্যা দেয় সংস্থাটি। রোগটির কোনো প্রতিরোধক বা প্রতিষেধক না থাকায় এটিকে ‘ব্ল্যাক ডেথ’ বলা হয়ে থাকে। আধুনিক যুগেও প্লেগে আক্রান্ত হলে মৃত্যু অনিবার্য।
ডব্লিউএইচও জানায়, গত ২০ বছরে বিশ্বে ৫০ হাজার মানুষ প্লেগে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গোলিয়া, কঙ্গো, পেরু ও মাদাগাস্কারে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্লেগে মৃত্যুর সংখ্যা ৫৮৪। ভয়ের বিষয় হলো, যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোতে ২০১৫ সালে দু’জন প্লেগ আক্রান্ত হয়ে মারা যান ও আটজনের দেহে এর জীবাণু পাওয়া যায়।
১৪ থেকে ১৯ শতকের প্রথমভাগ পর্যন্ত প্লেগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল। একজন আক্রান্ত হলেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত গ্রামের পর গ্রাম অথবা শহরের পর শহর। ইঁদুর জাতীয় প্রাণীর লালার মাধ্যমে প্লেগের সংক্রামণ হলেও এর জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে মানুষের নিঃশ্বাসের সঙ্গেও। তাই, একে প্রাণঘাতী রোগ হিসেবে চিহ্নিত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। রোগটি নতুন করে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। এতে কঙ্গো ও মাদাগাস্কার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
ডব্লিওএইচও বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্লেগে আক্রান্ত রোগী চিহ্নিত হওয়ায় ভয় রয়েছে অন্য দেশগুলোতেও। বিশ্বায়নের যুগে এটি আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
একারণে প্লেগ থেকে এখনই সতর্ক হওয়া জরুরি বলে জানিয়েছে তারা। সে কারণে কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, নিজ বাড়ি বা এলাকার আশপাশ আবর্জনামুক্ত ও পরিচ্ছন্ন রাখা। পোষা প্রাণীর নিয়মিত পরিচর্যা ও টিকা দেওয়া। ঘুমানোর সময় বিছানায় পোষা প্রাণীকে জায়গা না দেওয়াসহ এদের বনে-জঙ্গলে ছেড়ে না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
কেএসডি/একে