ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দেশে ইউরোলজি চিকিৎসায় রোবোটিক সার্জারি চালুর দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
দেশে ইউরোলজি চিকিৎসায় রোবোটিক সার্জারি চালুর দাবি বাউসের ১৪তম আন্তর্জাতিক কনফারেন্স। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বাংলাদেশে ইউরোলজির (কিডনি রোগ) চিকিৎসায় রোবটের মাধ্যমে সার্জারি এখন সময়ের দাবি। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও অনেক আধুনিক প্রযুক্তির সংযুক্তি বর্তমান প্রেক্ষাপট কিংবা কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা অনুসারে প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন দেশের ইউরোলজিস্টরা। 

শনিবার (১১ জানুয়ারী) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইউরোলজিক্যাল সার্জনস (বাউস) আয়োজিত ১৪তম আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে তারা এ দাবি জানান। এ দাবির সঙ্গে সহমত জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমরা এমডিজি অর্জন করেছি, এসডিজি-ও পারবো। আমরা এখন নন-কমিউনিকেবল রোগ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় আছি। বর্তমানে দেশে এক কোটিরও বেশি লোক কিডনি রোগে আক্রান্ত। আমরা এই দিকে লক্ষ্য দিয়েছি। আমরা প্রথমে দেশের আটটি বিভাগে আটটি ক্যান্সার ও কিডনি হাসপাতাল স্থাপন করবো। তাছাড়া খুব শিগগিরই প্রতিটি জেলা হাসপাতালে ১০ বেডের ডায়ালাইসিস সেন্টার বা কিডনি বিভাগ চালু করছি। এতে আমাদের দেশের দরিদ্র মানুষেরা সঠিক চিকিৎসা পাবে। তাদের চিকিৎসা করাতে আর দেশের বাইরে যেতে হবে না।  

তিনি বলেন, আমরা কিডনি প্রতিস্থাপনের আইন সংসদ থেকে পাস করিয়েছি। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়িত হয়নি। তাই ইউরোলজিস্টদের অনুরোধ করবো, আপনারা এদিকে বেশি জোর দেন। এতে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আরও উন্নত করা সম্ভব হবে। তাছাড়া আপনারা বিদেশি বন্ধুদের সহায়তা নিতে পারেন। এক্ষেত্রে আমরাও সহায়তা করবো।  

এসময় মুজিববর্ষে পাঁচ হাজার চিকিৎসক ও ১০ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরে দেশের ও দেশের বাইরের প্রখ্যাত ইউরোলজিস্টদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন তিনি।  

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, দেশে ইউরোলজিস্টদের সংখ্যা খুবই কম। আপনারা প্রথমে চেষ্টা করুন, এ সংখ্যা কীভাবে বাড়ানো যায়। সরকার দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে সব স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছে। সেখানে আপনাদেরও প্রয়োজন। প্রান্তিক পর্যায়ে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে পাঠাতে হবে। এ প্রশিক্ষণের কাজ কীভাবে করা যায়, তা ভাবুন। এ বিষয়ে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।  

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে কয়টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন, তার সব কয়টি পেয়েছেন স্বাস্থ্যখাতে অবদানের জন্য। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে দেশের স্বাস্থ্যখাত তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এখনো পৌঁছাতে পারেনি। এক্ষেত্রে জটিলতা দূর না হলে শুধু চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না।  

বাউসের সভাপতি অধ্যাপক ডা. কাজী রফিকুল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. মো. এহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২০
এমএএম/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।