ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

‘হজ ক্যাম্পের ব্যবস্থাপনা কোয়ারেন্টাইন নয়’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২০
‘হজ ক্যাম্পের ব্যবস্থাপনা কোয়ারেন্টাইন নয়’

ঢাকা: চীন থেকে আগত ৩০২ জন বাংলাদেশিকে যেভাবে হজ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে সেটা কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাপানের এহিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রটেও সায়েন্স সেন্টারের চিকিৎসা বিজ্ঞানী ড. শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবর।

তিনি বলেন, কোয়ারেন্টাইনে প্রত্যেককে আলাদাভাবে রাখতে হয়। একজন আরেকজনের সংস্পর্শে না এসে যেন প্রত্যেকেই নিরাপদে থাকতে পারে, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হয়।

ঢাকার মতো শহরে এ ধরনের রোগ ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সায়েন্টিফিক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি একথা বলেন। ‘মলিকিউল এপিডেমিওলজি অ্যান্ড ইমিউনোলজি অব নোবেল করোনা ভাইরাস হাইপস অ্যান্ড হোপস’ শীর্ষক এ সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।  

সেখানে তিনি বলেন, এই ভাইরাসের বর্তমানে ‘সুপার স্পেড’ হচ্ছে। এই সময় এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই এটির দ্রুত ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে ‘সুপার স্পেড’র রহস্য উন্মোচন করতে হবে। এই ভাইরাসের ভয়াবহতা নিরূপণে পৃথিবীর চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা গবেষণা শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে সায়েন্স, ন্যাচার ও ল্যানস্যাটের মতো জার্নালে ১৩০টি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।  

ড. আকবর বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই ভাইরাসের ভ্যাক্সিন আবিষ্কার হয়েছে বলে সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য ফ্রান্সের পাস্তুর ইনস্টিটিউট ভ্যাক্সিন তৈরিতে কাজ শুরু করেছে। তবে ২০২১ সালের আগে সেটি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।  

তাই এই ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকতে সবাইকে ভাইরাল প্রটেক্টেড মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, মাস্ক ব্যবহারে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত নিরাপদ থাকা সম্ভব। এছাড়া হাত ধোয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুতে হবে।

করোনা ভাইরাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ১শ কোটির বেশি মানুষ ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়। যাদের মধ্যে কিছু মানুষের মৃত্যু ঘটে। ইনফ্লুয়েঞ্জায় সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয় ১৯১৮ থেকে ১৯২০ সালে। সেই সময়ে ৫শ কোটি মানুষ এ রেগে আক্রান্ত হয় এবং দুই কোটি মানুষের মৃত্যু হয়। বিশ্বব্যাপী এই ইনফ্লুয়েঞ্জা ঘটায় এক ধরনের করোনাভাইরাস। ইতোপূর্বে এই করোনা ভাইরাস সার্স, মার্স ও সিভিয়ার ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন  বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, হেপাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন-আল মাহতাব স্বপ্নীল, ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২০
এমএএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।