ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দরিদ্র শিশু হৃদরোগীদের পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০
দরিদ্র শিশু হৃদরোগীদের পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ ‘স্ট্যাটাস অব কনজেন্টিয়াল সার্জারি ইন বাংলাদেশে’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বাংলাদেশের প্রতি একশ’ শিশুর মধ্যে একজন জন্মগতভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত। এসব শিশুর অধিকাংশই দারিদ্র্যের কারণে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। জন্মগতভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত শিশু সার্জারি রোগীদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের অন্যতম বৃহত্তম শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ এবং লন্ডনের মুনতাদা ফাউন্ডেশন।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় রাজধানীর শাহবাগে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের মাল্টিপারপাস হলে লিটল হার্ট প্রজেক্টের ‘স্ট্যাটাস অব কনজেন্টিয়াল সার্জারি ইন বাংলাদেশে’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা জানান।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নুরুন নাহার ফাতেমা।

প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের হৃদরোগ সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রোকনুজ্জামান সেলিম।

তিনি বলেন, জন্মগত শিশু হৃদরোগীদের মাত্র ৬ দশমিক ৫ শতাংশ চিকিৎসার সুযোগ পায়। বাকিরা আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকে। অথচ এসব শিশু রোগীর সার্জারি করলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে। জন্মগত ভাবে শিশু হৃদরোগীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ এবং লন্ডনের মুনতাদা ফাউন্ডেশন।

তিনি আরও বলেন, দেশে যেসব দরিদ্র পরিবারে শিশু হৃদরোগী রয়েছে, আর্থিক অভাবের কারণে যারা সার্জারি করতে পারছেন না, তারা আমাদের কিংবা বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিনামূল্যে তাদের চিকিৎসাসেবা এবং প্রয়োজনে সার্জারির ব্যবস্থা করা হবে।

সেমিনারে এসময় চিকিৎসা সেবা নেওয়া শিশু এবং তাদের পরিবার উপস্থিত ছিল। বরিশাল জেলার দেলোয়ার ফকির নামে একজন বলেন, আমার মেয়ে সুমা জন্মগতভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত ছিল। এখানে চিকিৎসার পর সে ভালো আছে। যারা আমার মেয়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন, আমি মন থেকে তাদের সবার জন্য দোয়া এবং শুভকামনা জানাই।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন ডা. শহিদুল ইসলাম, ডা. সিরাজুল ইসলাম, ডা. প্রদিপ কুমার, ডা. আহসান হাবিবুর রহমান, ডা. আতিকুর রহমান, ডা. তৌসিফুল ইসলাম, ডা. আহসান কবির, ডা. আজমির ই মুমতাজ, ডা. অজিত রায়, ডা. আমিনা রশিদসহ ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের অন্য কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০
আরকেআর/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।