ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

১৮ মার্চ থেকে শুরু তিন সপ্তাহব্যাপী হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২০
১৮ মার্চ থেকে শুরু তিন সপ্তাহব্যাপী হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন

ঢাকা: দেশব্যাপী হামরোগের প্রাদুর্ভাব কমাতে ১৮ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত তিন সপ্তাহব্যাপী শুরু হচ্ছে জাতীয় হাম-রুহেলা ক্যাম্পেইন। যার উদ্দেশ্য ৯ মাস থেকে ১০ বছর বয়সী সব শিশুকে এক ডোজ ‘এমআর টিকা’ প্রদানের মাধ্যমে হাম-রুবেলা রোগের বিস্তার দ্রুত কমানো এবং নিয়মিত টিকাদান কার‌্যক্রম হতে দুই বছরের চেয়ে কমবয়সী শিশুদের খুঁজে বের করা নিয়মিত টিকাদান কার‌্যক্রম মাধ্যমে এমআই টিকা নিশ্চিত করা।

বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আসন্ন জাতীয় হাম- রুবেলা ক্যাম্পেইন ২০২০ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এসময় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগেন সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মওলা বক্স চৌধুরী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হামরােগ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে এরইমধ্যে দেশে ২০০৬ সালে ক্যাচআপ এবং ২০১০ সালে ফলােআপ ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়। ফলে হামের প্রভাব বহুলাংশে কমে গিয়েছিল। ২০১২ সাল থেকে রুবেলা নিয়ন্ত্রণে হামের টিকার সঙ্গে রুবেলা টিকা সংযোজন করে এমআর টিকা দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে হাম-রুবেলা দুরীকরণে এমআর ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়। কিন্তু রােগ নিরীক্ষণ তথ্য অনুযায়ী ২০১৭ সাল থেকে দেশব্যাপী হামরােগের প্রাদুর্ভার বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী ১৮ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত তিন সপ্তাহব্যাপী সারাদেশে পরিচালিত হতে যাচ্ছে জাতীয় হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন ২০২০।

যার উদ্দেশ্য হলো, ৯ মাস থেকে ১০ বছরের নিচের সব শিশুকে এক ডােজ এমআর টিকা দেওযার মাধ্যমে হাম-রুবেলা রােগের বিস্তার দ্রুত হ্রাস করা এবং নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম হতে ২ বছররর কমবয়সী শিশুদের খুঁজে বের করে নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রমের মাধ্যমে এমআর টিকা নিশ্চিত করা।

তিনি বলেন, জাতীয় হাম-রুবেলা ক্যাম্পেন বাস্তবায়ন করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বরাবরের মতো এবারও সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ক্যাম্পেইনকে সফল করতে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ একান্ত প্রয়োজন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সারাদেশের ৯ মাস থেকে ১০ বছরের নিচের প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে (পূর্বে এমআর টিকা পেয়ে থাকলেও) আবারও এক ডোজ এমআর টিকা দেওয়া হবে। ক্যাম্পেইনের ক্যাম্পেইনটি দুইভাগে পরিচালিত হবে। ১৮-২৪ মার্চ ক্যাম্পেইনের প্রথম সপ্তাহে সারাদেশের ১ লাখ ৭৩ হাজার ২৮৯টি বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণি বা সমপর্যায় পর্যন্ত অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের এক ডােজ এমআর টিকা দেওয়া হবে। ২৮ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় সপ্তাহে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৪৪টি নিয়মিত, স্থায়ী ও অতিরিক্ত টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে কমিউনিটির উদ্দিষ্ট শিশু এবং যারা বিদ্যালয়ে যায় না বা প্রথম সপ্তাহে বিদ্যালয়ে টিকা নেয়নি, তাদের প্রাপ্যতা অনুযায়ী এক ডােজ এমআর টিকা দেওয়া হবে।  ক্যাম্পেইন শুরুর দিন হতে শেষদিন পর্যন্ত শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতিত টিকাদান ক্যাম্পেন চলবে। কেন্দ্রগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকা দেওয়া হবে।

এছাড়া ঝুঁকিতে থাকা শিশু অর্থাৎ দোকান বা বাজার, কারখানাায়, রাইস মিল ইত্যাদিতে কর্মরত মায়েদের শিশু, বেদে বহরের শিশু, সুবিধাবঞ্চিত শিশু, যারা বাস বা রেল স্টেশনে ঘুমায়, হাসপাতালে ভর্তি বা মায়েদের সঙ্গে অবস্থানরত শিশু, জেলখানায় মায়েদের সঙ্গে অবস্থানরত শিশু, পতিতালয়ের শিশু, বস্তির শিশু ও দুর্গম এলাকার শিশুদের টিকা দেওয়ার জন্য সেসব এলাকায় আলাদা টিকাকেন্দ্র পরিচালিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২০ 
জিসিজি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।