ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

করোনা শঙ্কায় চাঁদপুরে ১০০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২০
করোনা শঙ্কায় চাঁদপুরে ১০০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত

চাঁদপুর: করোনা ভাইরাসের শঙ্কায় চাঁদপুর জেলা সদর ও উপজেলা পর্যায়ে ১০০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়াও অতিরিক্ত হিসেবে প্রত্যেক উপজেলায় একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক হোটেল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। 

এ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ৬৪৮ জনকে ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ থাকার নির্দেশ দিয়েছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে গণবিজ্ঞপ্তি জারি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, করোনা প্রতিরোধে উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন, জরুরি মেডিক্যাল দল, ইউনিয়ন পর্যায়ে মেডিক্যাল দল, মনিটরিং সেল গঠন, প্রত্যেক উপজেলায় ৭-৮ বেডের আইসলোশেন ওয়ার্ড প্রস্তুত করণসহ চিকিৎসা সেবার জন্য সব প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।

কচুয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সালাহ উদ্দিন মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, মাঠ কর্মীদের মাধ্যমে প্রবাসীদের কাছে স্বাস্থ্য কার্ড আছে কী না যাচাই-বাছাই করা এবং আগত প্রবাসীদের স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইনের জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মানুষের মাঝে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক দূর করে জনসচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে পরামর্শ করে ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধ সম্পর্কে অবগত করা হচ্ছে।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিউলি হরি বাংলানিউজকে বলেন, গত ১০ দিনে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় প্রায়  দেড় শতাধিক প্রবাসী দেশে ফিরেছেন। তাদের সবার ব্যাপারে বিশেষ নজর রাখছে প্রশাসন। করোনা মোকাবিলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাত বেডের একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রয়েছে।

মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেন বাংলানিউজকে বলেন, মতলব উত্তর উপজেলায় ইতালি ফেরত দুদু মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে সন্দেহ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে পরীক্ষা করা হয়। একদিন পরে ঢাকা থেকে পরীক্ষা রিপোর্ট আসার পরে জানা গেছে তার শরীরে করোনা ভাইরাস নেই। করোনা মোকাবেলায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বাংলানিউজকে বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত চাঁদপুরে বিভিন্ন দেশ থেকে ফেরত এসেছেন ৬৪৮ জন ব্যক্তি। আমরা তাদের তথ্য সংগ্রহ করে যার যার নিজ নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করেছি। এই কাজে সহায়তা করছে জেলা সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগ এবং পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পুলিশ বিভাগ।

চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, জেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এবং আক্রান্ত হয় এমন রোগীদের জন্য ১০০ শয্যার আলাদা বিশেষ ইউনিট খোলা হয়েছে। এরমধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ৩০টি, বিভিন্ন ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালে ২১টি এবং সাত উপজেলায় আরও সাতটি করে মোট ৪৯টি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।