ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বগুড়ায় হোম কোয়ারেন্টিনে ৪৮৯, ছাড়পত্র পেয়েছে ৪২ জন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২০
বগুড়ায় হোম কোয়ারেন্টিনে ৪৮৯, ছাড়পত্র পেয়েছে ৪২ জন হোম কোয়ারেন্টিন

বগুড়া: বগুড়ায় নতুন করে আরও ৫৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এই নিয়ে জেলায় মোট ৫৩১ জন বিদেশফেরতকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার কথা জানিয়েছে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে এর মধ্যে ৪২ জনের হোম কোয়ারেন্টিনে শেষ হওয়ায় বর্তমানে মোট ৪৮৯ জন হোম কোয়ারেন্টিনে অবস্থান করছে।

সোমবার (২৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত জেলার ৬টি উপজেলায় নতুনন করে আরও ৫৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বিদেশফেরতকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয় শিবগঞ্জ উপজেলায়।



জানা গেছে, সোমবার শিবগঞ্জ উপজেলায় ৩০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়। এছাড়া সদরে উপজেলায় ৬ জনকে, দুপচাঁচিয়ায় ১১ জনকে, আদমদিঘীতে ১ জনকে, গাবতলীতে ৪ জনকে এবং ধুনটে ১ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

স্বাস্থ্য দফতরের কর্মকর্তারা জানান, গত ১১ মার্চ থেকে ২৩ মার্চ বিকেল পর্যন্ত সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, মালোয়েশিয়া, ইতালি, দুবাই, কাতার, কুয়েত, আমেরিকা এবং প্রতিবেশী দেশ ভারতফেরত ৪৮৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে এবং বগুড়ায় মোট ৪২ জনের হোম কোয়ারেন্টিনে শেষ হয়েছে। এদের সবাই সুস্থ আছে বলে জানিয়েছে বগুড়া স্বাস্থ্য বিভাগ।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, বগুড়ায় মোট ৪৮৯ জনের মধ্যে সারিয়াকান্দিতে ১৫ জন, সোনাতলায় ১২ জন, শিবগঞ্জে ১৪২ জন, আদমদিঘীতে ৫২ জন, কাহালুতে ২৬ জন, নন্দীগ্রামে ৩৮ জন, শেরপুরে ৪ জন, ধুনটে ১৭ জন, সদরে ৩০ জন, গাবতলীতে ৪৩ জন, দুপচাচিয়ায় ৯৯ জন এবং শাহজাহানপুরে ১৮ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে।

বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন বাংলানিউজকে বলেন, বিদেশফেরত ব্যক্তিরা সুস্থ আছেন। তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে রেখে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৪২ জনের হোম কোয়ারেন্টিনে শেষ হওয়ায় তারা ছাড়পত্র পেয়েছেন। বাকিরা সবাই সুস্থ আছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২০
কেইউএ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।