ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বরিশাল বিভাগে ৫৩০ জনের হোম কোয়ারেন্টিন শেষ, আছেন ২২৩৪ জন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২০
বরিশাল বিভাগে ৫৩০ জনের হোম কোয়ারেন্টিন শেষ, আছেন ২২৩৪ জন

বরিশাল: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বরিশাল বিভাগে ২ হাজার ২৩৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২৩৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে আনা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিভাগের ছয় জেলার হিসেব অনুযায়ী, বরিশালে নতুন ৮১ জনসহ ৪৭৮ জন, পটুয়াখালীতে নতুন ২০ জনসহ ৬০৭ জন, ভোলায় নতুন ৫০ জনসহ ৩২২ জন, পিরোজপুরে নতুন ৩৯ জনসহ ৩৪২ জন, বরগুনায় নতুন ৩৬ জনসহ ৩০০ জন ও ঝালকাঠিতে নতুন ১০ জনসহ ১৭১ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

এছাড়া বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) এলাকায় নতুন দু’জনসহ ১৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

এদিকে বিভাগটিতে গত ১০ মার্চ থে‌কে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা মোট ৫৩০ জনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২৪৪ জনের। কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন বরিশাল জেলায় ১০৭ জন, পটুয়াখালীতে ১৮০ জন, ভোলায় ৬০, পিরোজপুরে ৫৩ জন, বরগুনায় ৮৩ জন ও ঝালকাঠিতে ৪৭ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ডা. বাসুদেব আরও জানান, কোয়ারেন্টিনে থাকা ২ হাজার ২৩৪ জনের অধিকাংশই প্রবাসী। এছাড়া বরগুনা ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা কর্নারে চিকিৎসাধীন চারজন রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। শেবাচিমে নতুন করে করোনা সন্দেহে ভর্তি হয়েছেন আরও দু’জন। তবে বরিশাল বিভাগে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণ করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্যকর্মী। পাশাপাশি এদের সবাইকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার কাজে জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সহায়তা করছে। আমরা ইউনিয়ন থেকে জেলা পর্যায়ে আমাদের সার্সিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আর সেবক-সেবিকা, চিকিৎকসহ সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তায় পারসোনাল প্রটেকশন সরঞ্জাম (পিপিই) এরইমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে সংশ্লিষ্টদের শঙ্কার কোনো কারণ নেই।

তিনি আরো জানান, সর্দি-কাশি ও জ্বরের রোগীকে দেখার জন্য আলাদা ব্যবস্থা হাসপাতালগুলোতে করা হয়েছে। শেবাচিম হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারে গেলেই এ বিষয়ে তথ্য জানা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২০
এমএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।