ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

২-৩ দিনের মধ্যে শেবাচিমে পিসিআর মেশিনের কার্যক্রম শুরু

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২০
২-৩ দিনের মধ্যে শেবাচিমে পিসিআর মেশিনের কার্যক্রম শুরু

বরিশাল: পর্যাপ্ত লোকবল সংকট থাকলেও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে করোনা ভাইরাস শনাক্তের ল্যাব চালু হতে কমপক্ষে আরও দুই থেকে তিন দিন লাগবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি দ্রুত জনবল নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরকেও চিঠি দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। 

এরইমধ্যে করোনা নিয়ে নাজুক পরিস্থিতিতে কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেয়ার গুঞ্জন নতুন আলোচনার সৃষ্টি করেছে। যদিও এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ।

পাশাপাশি অব্যাহতি দিলেও করোনা ভাইরাস শনাক্তের কার্যক্রমে কোনাে প্রভাব পরবে না বলেও মনে করছেন তিনি।

শনিবার (৪ এপ্রিল) সকালে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় পিসিআর মেশিন বা ল্যাব স্থাপনকৃত কক্ষের কাজ পরিদর্শন করেছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম।

পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে ল্যাব স্থাপনের লক্ষ্যে কক্ষ সংস্কারের কাজ প্রায় শেষের দিকে। সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। আশা করছি, আগামী পরশু বা তার পরের দিন ল্যাবের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করতে পারবো। রােববার (৫ এপ্রিল) সিলেট থেকে বিশেষজ্ঞরা বরিশালে আসবেন। তারা আসার পরেই পিসিআর মেশিন স্থাপন ও পরবর্তীতে এর কার্যক্রম শুরু হবে।  

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সবকিছু মাথায় রেখেই কাজ করছি। এ কার্যক্রম বিলম্ব হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না। আর কোনো চিকিৎসক যদি অব্যাহতির কথা বলে থাকেন তবে এটা কলেজ কর্তৃপক্ষের বিষয়।

এদিকে করোনা শনাক্তে ল্যাব চালু হলেও লোকবল সংকটের কারণে তা সঠিকভাবে চলা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এমটি জাহাঙ্গীর হুসাইন। পাশিাপাশি যে জায়গায় ল্যাব স্থাপন হচ্ছে সেটিও ঝুঁকিমুক্ত নয় বলেও মত তার।  

তবে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদনের গুঞ্জন থাকার বিষয়টি নিয়ে কিছুই জানাতে রাজি হননি তিনি।

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. অসীত ভূষণ দাস বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে এ খবরটি আমার কানেও এসেছে, তবে অফিসিয়ালি কারো অব্যাহতিপত্র আমি পাইনি। আর যদি আমাদের কারণে কেউ অব্যাহতি দিতে চায়, সেটা আমরা নিজেরাই আশাকরি আলোচনা করে ঠিক করে ফেলতে পারবো। তবে কেউ ব্যক্তিগত কারণে দিলে আমাদের কিছু করার নেই। আর অব্যাহতি দিলেও করোনা ভাইরাস শনাক্ত কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে না।

ভাইরোলজিস্ট ও প্রশিক্ষিত টেকনোলজিস্টের লোকবল সংকটের কথা জানিয়ে সার্বিক বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে দু'জন সহকারী অধ্যাপক ও দু'জন টেকনিশিয়ায়ন রয়েছে। এখন আমাদের হাসপাতালের যে জনবল রয়েছে তাদের প্রশিক্ষিত করে কাজ শুরু করতে চাই।  তারপরও আমরা দু'জন সহকারী কিংবা সহযোগী অধ্যাপক, দু'জন টেকনিশিয়ান ও দু'জন ভাইরোলজিস্ট চেয়েছি কর্তৃপক্ষের কাছে। আশাকরি দ্রুত এ জনবল দেয়া হবে। সার্বিক দিক ঠিক থাকলে দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনা ভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করতে পারবো।

শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন জানান, কোনাে কিছু নিয়ে শঙ্কার কারণ দেখছি না। সবকিছু ঠিকঠাকভাবে এগিয়ে চলছে। পিসিআর মেশিনের কার্যক্রম শুরু হলে আমরা করোনা মোকাবিলায় আরও এগিয়ে যাচ্ছি। যা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য শুভকর হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২০
এমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।