ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

হটলাইনে জেসার চিকিৎসাসেবা, থাকছেন ১৫০ চিকিৎসক

শাওন সোলায়মান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২০
হটলাইনে জেসার চিকিৎসাসেবা, থাকছেন ১৫০ চিকিৎসক

ঢাকা: করোনা ভাইরাস থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাধারণ রোগীদের টেলিফোনেই সেবা দিতে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নিয়েছে জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন জেসা। সংগঠনটির সাবেক শিক্ষার্থী ছিলেন এবং বর্তমানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে প্র্যাকটিস করছেন এমন ১৫০ জন চিকিৎসক হটলাইনে টেলিমেডিসিন ফরম্যাটে দেবেন চিকিৎসাসেবা।

রোববার (৫ এপ্রিল) জেসা’র সাধারণ সম্পাদক শেখ ফয়েজ আহমেদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে জানান দেন এমনটাই। সেই পোস্টে ১৫০ জন চিকিৎসকের নাম, সেবা সংশ্লিষ্ট বিষয়, মোবাইল নম্বর এবং যে সময়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের ফোন করা যাবে তা বিস্তারিত তুলে ধরেন।


 
পোস্টে দেখা যায়, গাইনি ও ধাত্রী, কার্ডিওলজি, মেডিসিন, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি, ডায়াবেটিস, নেফ্রলজি, চোখ, মনোরোগ, সার্জারিসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছেন সেই তালিকায়। বিভিন্ন সময়ে নিজেদের মতো করে মোবাইল ফোনে সেবা দিতে প্রস্তুত থাকবেন চিকিৎসকেরা। তবে ২৪ ঘণ্টায় প্রায় সব বিভাগের কোনো না কোনো বিশেষজ্ঞ ফোনের ওপাশে প্রস্তুত থাকবেন সম্ভাব্য রোগীকে সেবা দেওয়ার জন্য।
 
বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্ডিওলজি বিভাগের কনসালট্যান্ট হিসেবে দায়িত্বরত শেখ ফয়েজ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, এই সময়ে সবাই মোটামুটি করোনা মোকাবিলায় কাজ করছেন। আমাদের চিকিৎসকদের মধ্যে থেকেও। তবে করোনা ছাড়াও অন্য রোগের রোগী তো আছেন। তাদেরও তো চিকিৎসাসেবা প্রয়োজন।

‘আবার এখন যথাসম্ভব সবাইকে নিজ নিজ বাসায় বা অবস্থানে থাকতে হবে। এমনই প্রেক্ষাপট থেকে আমরা একটি ব্যবস্থা চালু করার চিন্তা করি যেখানে অন্য রোগের রোগীরা চাইলে দূরে থেকেই প্রযুক্তির মাধ্যমে যেটিকে আমরা টেলিমেডিসিন বলছি, যতটুকু স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া সম্ভব সেটুকু যেন নিতে পারেন। ’

তিনি বলেন, আমাদের গুরুত্ব করোনা ব্যতীত অন্য রোগের রোগীদের দিকে। তবে করোনা আক্রান্ত হতে পারেন বা ঝুঁকিতে আছেন বলে মনে করছেন এমন কেউও যদি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন আমরা সর্বোচ্চ সাহায্য করবো। আমাদের সংগঠনের সদস্য অর্থাৎ জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন এমন চিকিৎসকেরা এখন বলতে দেশের প্রতিটি কোণায় আছে। আমি যেমন বিএসএমএমইউ’তে আছি, কেউ কুয়েত মৈত্রীতে আছেন, আইইডিসিআর-এও আছেন।
 
চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত চিকিৎসকেরা বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের জানিয়ে ফয়েজ বলেন, আমাদের সংগঠনে ইন্টার্নি পর্যায়ের চিকিৎসকও আছেন। কিন্তু এখনই আমরা তাদের এই সেবার সঙ্গে যুক্ত করছি না। এখন যারা চিকিৎসা দিচ্ছেন তারা সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের। কেউ ফুল প্রফেসর, কেউ সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক আবার কেউ কনসালট্যান্ট। কাজেই যারা এসব হটলাইনে ফোন করবেন তারা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেবাই পাবেন।
 
জেসা নিয়ে ফয়েজ বলেন, জেসা সংগঠন হিসেবে আগেও দাতব্য কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। জেসা নিপীড়িত মানুষসহ নিজের প্রতিষ্ঠানের সবার জন্য নিবেদিন প্রাণ ছিল, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও এভাবেই সামনে এগিয়ে যাবে। তাই সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এবং কাজের মাধ্যমে আমরাও এমন ভয়ানক পরিস্থিতি আশা করি মোকাবিলা করতে পারবো।
 
চিকিৎসকদের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে এই লিংকে-https://www.facebook.com/sheikh.foyez/posts/10221552988472593
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২০
এসএইচএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।